কফিন বন্দি একটা রাত এলো ছেঁড়া খামের চিঠি নিয়ে।
আমার না বলা কথারা তখনও গড়াগড়ি খাচ্ছে নিস্তেজ চন্দ্রালোকে।
বিস্ময়সূচক চিন্হ ঢেকে দিচ্ছে সোহাগী টিপ।
কানে কানে উদাসী হাওয়া বলে গেলো,"নে হতভাগী,এবার ঘুমা,নিশ্চিন্তের ঘুম !"
ছাদের আড়াল থেকে ছুঁড়ে দেওয়া কিশোরীর ওড়নাটা অক্ষত হয়েই-
ফিরে এলো কোথা থেকে যেন !
অনায়াসে ঢেকে দিলো বিবর্ণ সিঁথি !
নোনা জল ফিরে গেলো অজস্র মনিমুক্তা রেখে দুচোখের বালিয়াড়ি জুড়ে।
বিছানায় ছড়িয়ে আছে কিছু অবুঝ বিকেল,বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যে,উষ্ণ রাত আর অভিমানী কান্নার রেশ।।
একটা চাপা আর্তনাদ দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে এলো আবার! !
নদীর পাড় ভাঙ্গার শব্দ যত্ন করে রেখে দিলাম তিরাঙ্গার খুঁটে বেঁধে।।
আমি না শহীদের স্ত্রী !