অন্তরেতে ঝঞ্ঝনা স্বর পূর্ণিমার ওই চাঁদের হাসি,
একটু লুকোয়, আবার তাকায়, বড্ড তোমায় ভালোবাসি।
শুক্লপক্ষ বয়ে যাই না যেন, কৃষ্ণপক্ষ অপেক্ষাতে।
তোমার জন্য হয়ে যাওয়া, অকালপক্ব পাখির কুজন,
নাই কিছু নাই হৃদয় মাঝে, তাইতো আমি আকিঞ্চন।


চাঁদের পাশে বাজাই বাঁশি, তারা জুড়ে মধুরত্ব,
লজ্জালু ওই চোখের ভাষায় কাছে টানে যেন দূরত্ব।
বিশাল দেহে চেয়ে আকাশ, বিলীন মাঝে পায় যে সুখ।
সবাই আছে পরিপূর্ণ, আমার মতো নেই কোনো জন!
নাই কিছু নাই দেহে আমার, তাইতো আমি আকিঞ্চন।


গাছের মিলন কে দেখে চিকীর্ষা তো গাছের ও আছে,
নয়তো সে গাছ শিকড়সমেত ভূমি-তলে চলে মিছে?
মিলন মাঝে অজানা সুখ, সকল কিছুর মিলন আছে।
তোমার উপর আমার মিলন, জোরেশোরে করছে কূজন,
তবু আমি চাইনা ছুঁ'তে, ভাগ্য আমার আকিঞ্চন।


আমি পাখির ঘর দেখেছি, সেই ঘরে রিরংসা দেখেছি,
একাকীত্ব এমন বিলাপ, সেই বিলাপে কেন সুখ চেয়েছি?
অনন্যমনা তুমি বড়, খেয়ালহীন হয়ে রয়ে পড়।
একা হয়ে থেকে আমি, যত্নশীল চোখে করেছি বীক্ষণ,
নিখুঁত মাঝে দোষ তবু পাই, কারণ আমি যে আকিঞ্চন।


দেখেছি প্রেমের আলিঙ্গন, প্রেম কেন হয় এতো বেহুদা,
মিটেনা তৃষ্ণা, মিটেনা জালা, প্রেমের শিখলে বড়ই ক্ষুধা।
যা ছিল সব দিয়েছি নৈবদ্য, তোমায় ঘিরে আমার দেহ পদ্য!
শুশ্রূষু আজ তোমার বাণী, তবু প্রেয়সী তোমায় লাগে খঞ্জন,
জিষ্ণু তোমার সর্ব মোহে, পারবে না জানি এই আকিঞ্চন।