খেতে বসে রাগের মাথায় বর বলে বধূকে..


বর- আজ বুঝি কাজে মন নেই?
বধূ- কেন এমন শুধালে আমায় স্পষ্ট করে বলবে একবার যদি সঠিক উত্তর দিই?


বর- এনেছি সজনে ডাঁটা সাথে খাব ইলিশের মাথা..
বধূ- সবই তো হল রান্না তবে কি হয়নি স্বাদ নাকি হয়েছে যাচ্ছেই তা!!


বর-  লবণে আমার মুখ পুড়েছে, স্বাদের মাথা খেয়েছে ঐ কয়লা রঙা তরকারি..
বধূ- কথায় কথায় অনেক কথা কও কৈ দিলে নাতো নতুন বছরে চূড়ি কিংবা শাড়ি?


বর- অনেক হয়েছে যদি নাই বা পার রাঁধতে দুটো ভাত যাওনা চলে বাপের বাড়ি..
বধূ- অনেক সয়েছি মর্ম ব্যথা; আর নয়কো শুনব কথা এ আমি বললাম যাবই তোমায়
      ছাড়ি।


বর- চলে গেলে বয়েই গেল মনে রেখ চলে গেলে আসবে আবার নতুন গিন্নি ঘরে..
বধূ- অনেক করেও কথায় কথায় এত্ত খোঁটা, আমিও দেখাব তোমায় একবার মরে।


স্ত্রী মুখে মৃত্যু কথা শোনা মাত্রই স্বামীর মন আবেগে উছলে উঠে। পাথর মন নরম হতে শুরু করে।


বর- ওগো সুন্দরী রাগ করেনা প্রিয়তমা আমার,যেওনা আমায় ছেড়ে..
বধূ- অনেক হয়েছে আর হবে না; নাও না যতই কাছে আদর করে।


বর- কথার পিঠে কথা কয়েছি, রাগের মাথায় দিলাম না হয় দুটো কথা ছুড়ে..
বধূ- এতটা বছর পার করেছি তোমার (সংসারে) দাও নি সুখ দিয়েছ দুখ রেখেছ কেবলই
      দূরে দূরে।


বর- আর নয় রাগ সব হোক ধূলিস্যাৎ নাও না একবার কাছে টানি!
বধূ- যতই কর সোহাগ ভরবে না মন জানো না তুমি (আমি) কতটা অভিমানী?


বর- হয়েছে অনেক আর নয় রাগের কথা, এই নাও তোমার নতুন শাড়ি।
বধূ- (মুচকী হেঁসে) রাগ আবার হলাম কই এইটুকুই অভিমান ভাঙ্গলাম সাথে মনের গোপন আড়ি।


বর- প্রেয়সি আমার তোমার ঐ মিষ্টি হাসিতে ভরেছ আমার মন..
বধূ- কথা দাও আমায়; হবে না রাগ যখন তখন।


বর- জীবনে আর আছে কী বল বাঁচব মাত্র আর কটা দিন..
বধূ- ভালবাসায় ভরিয়ে তুলব চোখ জুড়াবে; হবে মন রঙ্গিন।


বর- আজীবন থাকলে পাশে তোমায় দেব সোনার খনি..
বধূ- প্রিয়তম আমার ওসব আমার চাইনা কিছুই,
      চাই হতে তোমার ঐ চোখের মনি।