চলতি পথে তন্দ্রা মনে;            হোঁচট খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি।
               নিঃশ্বাসের টানে ঝাপিয়ে
                 পড়া উৎকট গন্ধটার,
                  তীব্র ধারালো ফলা
              বিদির্ণ করে কোমল মন।


চঞ্চল, উচ্ছল, মৃদুল             সোনালী আলো মুহূর্তে
               ম্লান মুখে মোচরে পড়ে
                    প্রকৃতির কূলে।


          বিস্ময়ে তীক্ষ         দৃষ্টি মেলতেই
          অদূরে কল কল রবে বয়ে যাওয়া
                   স্রোত বিমুখ কৃঞ্চ
                 কালো নদীটির দিকে।


প্রশ্নাতীত দৃষ্টির অন্তরালে          খুঁজে ফিরি অসহ্য অসহনীয়
                  দুর্গন্ধের সুস্পষ্ট কারণ।
                অপূর্ব রবে ভেসে বেড়ানো
                        দুষিত বায়ু
                কানে কানে বার্তা শোনায়।


জলধারায় বইছে দেখ,       কলকারখানার বর্জ
                দুর্গন্ধ আর আবর্জনায়
                 জল হয়েছে অব্যহার্য।


হতাশায় ভাসমান            চাতকী চঞ্চল মন
                 শোকার্ত মাছ রাঙার
               রঙিণ পাকায় ভর দিয়ে
               উড়ে চলে অপর প্রান্তে।


ব্যথিত মন ফুসলিয়ে উঠে        মৌন আর্তনাদে একান্ত নিবৃর্তে।
                 অশিক্ষিত অজ্ঞ দুস্ত লোক সব
                   আবর্জনাময় দুষিত জলে
                        তুলছে কলরব।


সেই জলেতে কেউ            বা ধোঁয় পরিধেয় বস্ত্র
                    কেউ বা ধােঁয়
                সবজি কিংবা শাক।
           কেউবা আবার সেই জলেতে
                 সারছে রান্না পাক।


ভাবিত মনে সুনামী         রূপী আঘাত হানে
             আবৃত আবরনী মনটায়।
             কি হবে এদের (ভবিষৎ)
                   ভয় উৎকন্ঠায়।


সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে       এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব,
              অজ্ঞতা আর অশিক্ষায় এখনও
                    যাচ্ছে প্রান অবিশ্বাস্য।


বিধাতার সৃষ্ট         অপরূপ রূপের ধরা,
        ধ্বংস আর অনিষ্টতায়
         করো না সর্বস্ব হরা।


জ্ঞান আর বিজ্ঞানের       আলোয় পৃথিবীকে
                 করে যাও যতন,
         যুগে যুগে টিকে থাকবে ধরণী;
             উল্লসিত হবে প্রাণ রতন।