সাত সকালে ফাস্ট লোকালে,
গোয়ালপাড়ার ঘাট ।
দু -পা হেঁটে সামনে গেলেই,
মস্ত গরুর হাট ।


এখান থেকেই গরুর গাড়ী ,
মাইল দুয়েক গেলে ।
মিলবে খেয়া সময় মতো ,
নদীর ঘাটে এলে ।


আঁতকে উঠি গাড়ী কোথায়?
ঢুলছে বসে গরু ।
কাটছে জাবর আপন মনে ,
এইতো দিনের শুরু ।


নিজের ক্রোধে নিজের গালেই
কষিয়ে দিলাম চাঁটি ।
মহারনের কর্ম আমার
গরুর কৃপায় মাটি ।


৭টা ১০ এর গরুর গাড়ী 
৮ টা ১০ এর খেয়া ।
খেয়ার পালে মুদ্রা লোনের
ব্যানার খানা দেয়া ।


কাজের উপর কাজ জমে যায়
জবাব দেবে কে ।
আজ আমাদের মুদ্রায়ণের
মহা লগ্ ইন ডে ।


চোঙা ফোঁকো ব্যানার লাগাও ,
১০০ খানা লোন ।
মোবাইলে ছবি তুলেই
হেড অফিসে ফোন ।


খেয়ার পালে লাগছে হাওয়া,
উড়ছে ব্যানার ছন্দে ।
ছুটছে শিশু , কিশোর, তরুন
মুদ্রা লোনের গন্ধে ।


আজ মুদ্রা বাঁটবো তোকে
কাল মুদ্রা মাফ্ ।
ব্যাংক অফিসার মরছে মরুক
ওদের কথা থাক ।


ছড়ার শেষে ধন্দ মনে
প্রশ্ন ছিলো এই ।
শিশু কিশোর তরুন আছে
বৃদ্ধ কেন নেই ।


শিশু —তরুন বৃদ্ধ হবে
অংক টা খুব সোজা।
মুকুব মেলা আসছে বছর,
এখন লোটো মজা ।