রাতের দ্বিপ্রহরে নৈশভোজ সেরে স্বপ্নের সন্ধ্যানে চোখের পাপড়ি আঁটালে দেখি-
আলো ও অন্ধকারের অবশিষ্ট বিচ্ছেদ দৃশ্য
তামসাচ্ছন্ন, চাঁদ তাঁরাহীন মলিন আকাশ এবং অন্ধকার বিভীষিকাদের উল্লাসী মিছিল।


বাইরের বেদুঈন বৃক্ষের ডাঁটা-বোঁটা কাঁপিয়ে,
উত্তুরের রাগিণী বাতাসে ভেসে রাতপ্রহরী ঝিঝিপোকাদের কান্নার সাথে মিশে
কানেআসে মেঘ স্তাবকদের ভাঙ্গনের সুর।
তবুও রাতভর কাঁচের সারু পিদিমে সম্ভাবনার অকটেন ঢেলে,
আঁকি এক টুকরো সরেস স্বর্ণালি সকালের প্রতিচিত্র।


ভোর হলে দু'কয়েনের বিনিময়ে কেনা রুটিতে আগুনের কারসাজিতে নির্মিত অমলেট কিম্বা মাখন মেখে
গলাধঃকরণ করে বেরিয়ে পড়ি ব্যস্ততার শহরে।
অতঃপর, দিনভর কলাকৌশল,ছল,বল বিক্রি করে ফিরি দুপুর গড়ালে-
কখনো কখনো মধ্যাহ্নভোজে-
ক্লান্তদেহে, ধ্যানস্থ চিত্ত পাশের কেদারায় আবিষ্কার করে
তোমার কাব্যিক কারুকার্যখচিত মায়াবী অবয়ব এবং
মুহূর্তে সব ক্লান্তি, গ্লানি ভুলে মত্ত হয় প্রেমের মালা পাঠে।


তারপর, বিকেল সন্ধ্যা শেষে আবারো সেই
ঘুমহীন রাত, আধখানা স্বপ্ন, ব্যস্তসমস্ত ভোর-দুপুর, ক্লান্ত বিকেল
ভাঙা ঠুঁটা আমি এবং মেঘের ওপারে অস্পষ্ট তুমি।