সময়ের চীরে অসময়ের জলছাপ। নিগ্রো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে স্যাঁৎসেতে অবসাদ: যেনো নক্ষত্র-নিয়নবাতি- জোনাক আলো... হরিয়ে ফেলেছে নিজস্ব কৌলীন্য!
বিবর্ণ প্রভাত-
তেজস্বী দ্বিপ্রহর-
তামসী সায়াহ্ন-
তখন আমার বড্ড অসময়:
চোখে আলো নেই! মাথার উপর ছায়া নেই! নেই মনে স্বস্তি, জোর, স্পৃহা..
পৃথিবীর গতর জুড়ে কেবল গাঢ় অন্ধকার-
খিটখিটে আতপ-
অসীম অশান্তি!
তবুও বেঁচে আছি; উদ্দেশহীন হাটছি- ছুটছি -ঘুরছি... পৃথিবীর আঁকাবাঁকা পথে-প্রন্তরে--
                  কঠিনক্লেশ বুকে নিয়ে।


বিভান্তীকা,
আকস্মিক তোমার অভ্যাগমনে পৃথিবীর ম্রিয়মাণ আলো আবারো জ্বলে উঠলো; নব্য উদ্যমে ঘুমন্ত, অর্ধমৃত স্বপ্নরা জেগে উঠলো। পাতাহীন মহীরুহে কুঁড়ি গজালো, মরানদীতে জোয়ারভাটা শুরু হলো...
প্রকৃতি ফিরে পেলো তার হারানো কৌলীন্য।
আমার অস্থির প্রাণে স্বস্তি এলো;
             এলো সবুজাভ স্বপ্নিল সুসময়।


(সম্পাদিত)