//আনন্দ পরিমাণ আপেক্ষিক অর্থে//


আনন্দ পরিমাণ নিয়ে কেন চিন্তা
আনন্দ থাকলেই ভালো যাবে দিনটা।


আনন্দ এসে যায় তোমার আমার মনে
আসলে কী থেকে যায়! যায় না সবাই জানে।


পরিমাণ যায় হোক, আনন্দ আনন্দই
কম-বেশী ভাবনায় কেন যে জড়িয়ে যাই!


কেউ কি বলবে নাকি, 'আন ধরে আনন্দ'
আন আন কিনে আন, এই আদেশও বন্ধ।


আনন্দ নেচে চলে তা থৈ, তা থৈ থৈ
কখন কোথায় নাচে, অগ্রিম জানা নেই।


আনন্দ মানেই বুঝি, শত শত ছন্দ
এমন ভাবনা নিয়ে মনে নেই দ্বন্দ।


আনন্দ অফিসে, বাজারে বা বাড়ীতে
একই রূপে থাকেনা প্রত্যেক স্থানেতে।


একই রূপে আনন্দ রাখাই তো যায় না
এ কী অনুমান নাকি! কক্ষনো তা তো না।


আনন্দ সাথে নিয়ে যে লোক চলতে পারে
তাঁর চলা বাধাহীন নিশ্চিত বারেবারে।


আনন্দ থেকে যায় কখনো পাঁচ মিনিট
কখনো গড়েই তোলে কয়েক দিনের ভিত।


আনন্দ ক্ষণিকের, পরিমাণ কম কী!
তাই তো হওয়া উচিৎ, ভুল হতে পারে কি!


আনন্দ পরিমাণ ভাবনাতে না এনে
ভাবনাতে তাই থাক, যেটা আনন্দ আনে।


'আনন্দ চাইনা', এ কথা কে বলে থাকে!
এ কথা বলার মতো ভাবনা কী মনে জাগে!


আনন্দ পরিমাণ জানার উপায় নেই
তা বলে কী আনন্দ মাত্রাতে ভাবা নেই!


আনন্দ খুব বেশী, আছেই উদাহরণ
কম হলে থেকে যায় খুবই অল্পক্ষণ।


আনন্দ পরিমাণ আপেক্ষিক অর্থে কী!
ধারণা সঠিক, তাতে সন্দেহ আছে কি!


কিছু লোক পেয়ে গেছে খুব বেশী আনন্দ
তাঁরাই জগতে সুখী, ধরে থাকে ছন্দ।


সুবীর সেনগুপ্ত