//ভাঙলে কী ফেলে দিতেই হবে!//


জুড়ে দিয়েছিল, জুড়ে গিয়েছিল
আপাতদৃষ্টি তাই বলেছিল
খুশী এসেছিল মনে...
তাও ভেবেছিল, কেন জুড়ে দিলো
ভেঙে গিয়েছিল, কেন রেখে দিলো
কী হেতু রাখার পিছনে!


জীবদ্দশায় যা ভেঙে যায়নি
মরনদশায় অখন্ড থাকেনি
সব কিছু ভাঙে নাকি!
অনেক কিছুই ভাঙতে পারেনা
কাপড় চামড়া কখনো ভাঙে না
তবে অক্ষত থাকে কি!


ভেঙে গেলে, ফেলে দিতে কী হবেই!
কেউ ফেলে দেয়, কিছু না ভেবেই
কেউ তা করে না সহজে
ভাঙা জিনিসেই রাখে তাঁর মন
কাজে লাগাবার প্রয়াস তখন
সব করে নিজ গরজে।


অভাবের ঘরে যা পায় আদর
স্বচ্ছল ঘরে পায় না কদর
এসব কী ভাঙা সামগ্রী!
নিশ্চয়ই তাই, আমি খুব মানি
ভাঙলে, নতুন আনবেই ধনী
আর তাও হবে শিগ্রি।


যদি জোড়া দিয়ে, তাতে কাজ চলে
বলবই, সে তো বুদ্ধির বলে
সবার কী নেই বুদ্ধি!
বলতে পারি না সকলেই বোকা
সবার তর্ক বেশ চোখা চোখা
টাকা দিয়ে সব শুদ্ধি।


হয় ভেঙে যাবে, নয় ছিঁড়ে যাবে
হয়ত বা ফেটে চৌচির হবে
যাই হোক, সব বিনষ্ট...
পুনর্ব্যবহার করা কী যায় না!
যায় না, এ কথা কেউ মানবে না
কেউ তা করে না স্পষ্ট।


ভাঙা জিনিসকে ভালো বলছি না
জোড়া দিয়ে ভাঙা নতুন হয় না
তবু হয় কিছু সাশ্রয়...
এই সাশ্রয়ে গরীবের যোগ
ধনীদের নেই তাতে অভিযোগ
দেয় নতুনকে প্রশ্রয়।


সুবীর সেনগুপ্ত