//ভরসার থেকে মুক্তি আছে কী!//


ঠিক ঠিক করে বলা যায় নাকি!
দেবে না কে পরে একবারও ফাঁকি
সইতে থাকবে চলার পথের সব ত্রুটি...
অনুমান করে কে ঠিক হয়েছে!
কোথায় সে লোক, যে দাবী করেছে!
ভাগ্যের হাতে দিতেই হয়েছে চাবিকাঠি।


সমাজের মাঝে যত সংসার
সবখানে মানুষের কারবার
মানুষই করবে ভরসা মানুষকে...
ভরসা দিয়েই শুরু পথ চলা
ভরসা ভাঙছে এ-বেলা ও-বেলা
দোষ দিতে হলে, দিতে হবে সবাইকে।


ভরসা কখন হবে যে ফরসা!
এর ব্যাখ্যায় নেই কোনো ভাষা
ধোঁকা খেতে খেতে মানুষ চলছে এগিয়ে...
মানুষ জেনেছে ধোঁকা খেতে হবে
এও জেনে গেছে, ধোঁকা দিতে হবে
মানুষ মেতেছে যোগ বিয়োগের খেলা নিয়ে।


ভরসা না করে চলা কী যায় না!
জবাবে আমি তো বলবই 'না'
নির্ভর করা হয়ে গেছে নিশ্চিত বিধান...
অলিখিত এই বিধান মেনেছি
বোকা হব পরে, সেটাও জেনেছি
সব জেনেশুনে ভরসাকে করি সন্মান।


ভরসার থেকে মুক্তি পাব না
অভিযোগ করা তাও ছাড়ব না
সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য...
অনুমান করে ভরসা করব
ধোঁকা খাব আর ধোঁকাও দেবো
যুগ যুগ ধরে এই হয়ে গেছে ন্যায্য।


সুবীর সেনগুপ্ত