//বুদ্ধিজীবী, নয় বুদ্ধুজীবী//


একটা ঈ-কার ছিনিয়ে নিয়ে
সেথায় উ-কার বসিয়ে দিয়ে
তোমরা কেন এই অপমান করলে!
আমার স্বাধীনতায় দখল দিলে।


তোমাদের দেওয়া উচ্চআসন
আমার অধিক আয়ের কারণ
তোমরা জনতা, ক্ষমতার অধিকারী
ওঠাও নামাও না করেই দরাদরি।


ব্রাত্য করোনি সমাজের থেকে
আড়ালে রেখেছ মান দিয়ে ঢেকে
এই ব্যবস্থা সকলেই মেনে নিয়েছি
তোমাদের চাপে ভয়েও কিন্তু কাঁপছি।


খবর পড়েছি তোমাদেরই মতো
জানতে পেরেছি সমাজের ক্ষত
পুলিশ তো নই, চোরের পিছনে ছুটব
চুপচাপ থাকি, তাই তো আমরা থাকব।


শান্তিতে থাকা আমাদের ধাত
টানাটানি করলেই কুপোকাত
দু-চার পয়সা রোজগার করি, তাতে কী!
এত সমাজের সেবা করি, সব ভুল কী!


তোমাদের দেওয়া মান্যতা পেয়ে
বুদ্ধিজীবির পরিচয় নিয়ে
একই সমাজে আমরাও করি বাস
দয়া করে আর করতে চেয়ো না পরিহাস।


বুদ্ধিজীবির দলেই আমরা
একটু অন্যরকম চামড়া
সমাজের ক্ষতে আমরা কী করি, বলো!
যাঁরাই শাসক, তাঁরাই জ্বালাক আলো।


অনেক কষ্টে এই স্থানে এসে
চাইনা তো যাক সব জলে ভেসে
করবই ভোগ এখানে ওখানে সুবিধা
যতই দাও-না চিৎকার করে বাধা।


সুবীর সেনগুপ্ত