//চুরির পেশাই খুব নড়বড়ে//
হিসেব হচ্ছে চুলচেরা সব
চুড়িগুলো হয়ে যাচ্ছেও শব
করতে থাকছে চোরগুলো রব
জনতার আজ এটাও পরব।
চোরের সংখ্যা খুব বেশী নয়
চুরি পরিমাণ খুব বেশী হয়
চুরি করা টাকা রাঙিত কালোয়
ঘর ভরে ভরে চুরির আলয়।
চোরের ধর্ম সে পালন করে
কেন তাকে ধরা হয় বারেবারে!
কৃষকের আয় চাষ করে করে
তাঁকে তো ধরে না কেউ শখ করে।
চুরির পেশা কী নড়বড়ে নাকি!
না হলেই ঠিকঠাক তদারকি
ধরা পড়ে যায়, তাতে নেই ফাঁকি
চোরের ধর্ম হয় বৈশাখী।
পেশা শত শত সকলেই জানি
নতুন পেশাও তোলে তর্জনী
চুরির পেশাতে নব নব ধ্বনি
হিসেবের পালে নব্য সরণী।
কম কম চোর, বেশী বেশী চুরি
যে যাঁর মতন পেশায় যুক্ত
পেশাগত পড়াশোনা করে করে
সবার জীবন হয় উপযুক্ত।
চোর হতে গেলে কি করতে হয়!
কোনো পড়াশোনা লাগে না বোধহয়
গোমূর্খ চোর অনেক দেখেছি
বিদ্বান চোর সংবাদে রয়।
কী যে চুরি করে ছোট ছোট চোর!
সেই হিসেবেই সবাই বিভোর
পুকুর চুরিতে যারা জুড়ে যায়
জানাজানি হলে বিস্ময়ে ঘোর।
ক্ষমতা, চুরির প্রধান প্রেরণা
ক্ষমতার বলে বিক্রী ও কেনা
গরীব ক্ষমতা থেকে বহু দূরে
পুকুর চুরিতে গরীব থাকে না।
সুবীর সেনগুপ্ত