//অনাসৃষ্টি লেখাও লোক পড়বে//


গল্পের গরু যদি ওঠে যায় গাছে
আমিও গড়ব বাসা মেঘেদের কাছে
গল্প কেবল গল্পই কথা জুড়ে জুড়ে
কল্পনা বাস্তবে, গল্পগুলোকে পড়ে।


যত যত লেখা, সব নয় রম্য রচনা
কাহিনী গল্প যেমন তেমন বোনা
লেখা লেখি করে হয় ইচ্ছাপূরণ
লেখা লেখি পড়ে পাঠকের আমোদন।


অনুমান আর ধারণা নিয়ে জীবন
স্বাধীনতা নিয়ে চলছে যে যার মতন
কত সোজা কাজ এই লেখালেখি করা!
সাধন যা লাগে, সব ঝুলিতেই ভরা।


গাছে গরু ওঠে, চাঁদ হয়ে যায় মামা
এসব লিখেও হয়না তো কারনামা
আরো বহু মজা লেখকের ঝুলিতে
যে নয় প্রিয়, হয়ে যায় প্রিয়তমা।


আগে লেখা নাকি, আগে এসে যায় শেখা!
প্রথমে কোনটা, বুঝতে কী চেয়ে দেখা!
লেখা কাজটি কী গাড়ী চালাবার মতো!
তা তো নয় তাই, শিখে শিখে নয় লেখা।


গরু উড়ে উড়ে চলে যাবে বহু দূরে
অলীক কামনা লেখকের মন জুড়ে
এমন চাওয়া কী উদ্ভট মনে হয়!
জনতার ভাবনাতে তাই হতে পারে।


লেখা উদ্ভ্ট, তাও তো থাকে পাঠক
লেখা রমণীয় আর আনন্দদায়ক
অতীতেও ছিল, পাঠক থাকবে আগে
লেখার মতোই পড়াও সুখদায়ক।


লেখা অপরূপ, কিংবা তা অনাসৃষ্টি
লেখার প্রকাশে পাঠকের থাকে দৃষ্টি
এ যেন বাজারে আমের প্রতীক্ষা
সবই তো বিধির অস্বাভাবিক সৃষ্টি।


গরু গাছে, নাকি গরু উড়ে যাবে আকাশে
বারোতেই কেউ চলে যাবে অবকাশে
যা অবিশ্বাস্য সাধারণ ভাবে বাস্তবে
লেখাতে সবই, যদিও নয় বিশ্বাসে।


সুবীর সেনগুপ্ত