//অনুচিৎ চাওয়া না হলেই ভালো//


কত কত নয়, চাইছি কেবল একটা
না দিতে চাইলে, জানিয়ে দাও ইচ্ছাটা।


একটা চাইলে, দিতে হবে নাকি নিশ্চিত!
এরকম কোনো কথা নেই, পাই কদাচিৎ।


চাওয়ার সঙ্গে পাওয়ার আছেই যোগ
এ যোগ কেমন! হয়না তো অভিযোগ।


নয় অভিযোগ, নয় অনুযোগ, নয় বিলাপ
চেয়ে না পেলে কী বিষণ্ণতার ভীষণ ছাপ!


পাওয়াতেই খুশী, তা কী বলে দিতে হবে!
খুশী কম বেশী প্রতি মনে ছেয়ে যাবে।


সবাই কী চায় জীবনে চলতে চলতে!
সাধারণ ভাবে তাই হয়, চাই বলতে।


কখনো কখনো চাওয়াও অপরিহার্য
পেশাগত কাজ চাওয়াকেই করে ধার্য।


কেউ কেউ আছে, চায়না কখনো চাইতে
না পায় না পাক, সেটা পারে মেনে নিতে।


সে সব মানুষ দৃঢ় বিশ্বাসে বিশ্বাসী
তাঁরা হবেনা তো চাওয়া ও পাওয়ার দাসী।


অনেকের কাছে চাওয়া খুব ন্যায়সঙ্গত
তাঁরা চেয়ে থাকে এখানে ওখানে অবিরত।


তাঁদের যুক্তি, না দেওয়ার হলে দিও না
দোষ খুঁজে খুঁজে অকারণ দোষী বানিও না।


অভিভাবকের কাছে শিশুদের যে চাওয়া
নিষ্পাপ সেই চাওয়া সাধারণ আবহাওয়া।


চাওয়া তো চাওয়াই, অনেক কিংবা কম
বড়দের চাওয়া না হওয়াই হবে উত্তম।


উচিৎ চাওয়াতে হবে কেন সমালোচনা!
অনুচিৎ চাওয়া হলে হোক আলোচনা।


মানুষের চাওয়া অন্য প্রাণীর মতো নয়
এই চাওয়াতেই লাভ আর লোভ ঘিরে রয়।


শুধু চাওয়াকেই ধাওয়া করে যদি চলি
তবে কী ফুটবে জীবনে খুশীর কলি!


চাওয়া অফুরান ভূবনের আঙিনায়
চাওয়ার অন্ত হবেনা কোনো সময়।


সুবীর সেনগুপ্ত