//প্রচারে বিক্ষিপ্ত কেন!//


বিক্ষিপ্ত ঘটনা হলে, ধরব না ঘটনা
শুধু বহু ঘটনায় করা যাবে আলোচনা।


ঘটনা চমৎকার, এক হোক বহু হোক
আলোচনা খুব হয়, কারো নেই অভিযোগ।


ঘটনা বীভৎস, সাথে জুড়ে রাজনীতি
সেই ঘটনার হয় বিক্ষিপ্ত পরিণীতি!


যে দল শাসনে, তার ক্ষমতার দম্ভ
অন্যায় চাপতে আনে বিক্ষিপ্ত স্তম্ভ।


খুনী যদি শাসকেরই কোনো নেতা হয়
গ্রেপ্তার করলেই, শাসক সমস্যায়।


খুনের ঘটনা, তাও হয়ে যাবে বিক্ষিপ্ত
বিরোধীরা নিশ্চিত হবেই তো ক্ষিপ্ত।


শাসক করতে চায় আতঙ্কের রাজনীতি
বিচ্ছিন্ন করতে চায় সমাজের মাঝে প্রীতি।


বল প্রতিপত্তি, আর সাথে নিয়ন্ত্রণ
এই তিন নিয়েই তো শাসক করে শাসন।


বল প্রয়োগের স্থান নেই গণতন্ত্রে
শাসনে আসার পথ ভোটারই মন্ত্রে।


গনতন্ত্রের চলা সংবিধানের সাথে
একবার জিতে গেলে, পাঁচটি বছর পাতে।


পাঁচ বছরের রাজ, কাজ করা দরকার
মানুষের দুর্দশা হয়ে যাক প্রতিকার।


শুনতে তো লাগে ভালো, সুন্দর কথাগুলো
সুন্দর কথামালা হারিয়ে সবই কালো।


গোঁয়ার গোবিন্দ হয়ে দমনমূলক নীতি
তাই গড়ে তুলছে নানারকমের ভীতি।


থাকবেই শাসকের প্রচারে বিক্ষিপ্ত
সংবাদে তাই পড়ে জনগণ তৃপ্ত।


তবুও তো স্বান্তনা বেশী শাসকই ভালো
সেকারণে দেখছি গণত্রন্তেও আলো।


সুবীর সেনগুপ্ত