//সন্দেশ//


লিখিতের রূপে যে সন্দেশ পেয়ে যাই
সেই সন্দেশ ভুললে নেই বিপত্তি
এক কাগজের ভাঁজে আছে নিরাপদে
ভাঁজ খুললেই সন্দেশ দেয় স্বস্তি।


সন্দেশ কাছে, সন্দেশ দূরে বহুদূরে
কিছু সন্দেশ প্রামাণিক, কিছু ভ্রান্ত
কিছু গড়ে, গড়ে মরে যায় অবিলম্বে
কিছু ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে শান্ত।


এই সন্দেশ নয় কোনো এক মিষ্টি
এই সন্দেশ শুধুই খবর সৃষ্টি
সৃষ্টিকর্তা আমরা সবাই ভূবনে
করেই চলেছি শুধু সন্দেশ বৃষ্টি।


সন্দেশ কত, এই প্রশ্নই অবান্তর
সন্দেশ গোনা কাজটাই অনাড়ম্বর
সন্দেশ থেকে যায় মানুষের মননে
প্রতিটি মানুষ চায় প্রতিদিন খবর।


অঙ্গের মতো জীবনে জুড়েছে সন্দেশ
অঙ্গ বললে, হবে নাকি খুব ভুল!
কী ভাবে কখন আসবে জানে না কেউ
বিকৃত হয়ে এলে চোখে দেয় ধূল।


কোনো সীমানাতে বদ্ধ থাকেনা সন্দেশ
ডানা মেলে উড়ে যায় সময়ের সাথে
পৌঁছেও যায় শহরে গ্রামে ও গঞ্জে
সন্দেশ নিয়ে বিতর্ক দিনে রাতে।


বিষয়ের কোনো ধারই-ধারে-না সন্দেশ
গড়ছে, গড়ে উঠবে যেখানে সেখানে
অজ গ্রাম থেকে উড়ে আসা এক সন্দেশ
পেয়ে অভিভূত কিংবা দুঃখ মননে।


সন্দেশ বলি, বলি বার্তা বা সংবাদ
অর্থ হয়ত হয়না ভিন্ন, নয় কি!
কখনো ভিন্ন হয়ে যায়, তাও দেখি
তা সে যাই হোক, চাইনা খবর মেকী।


সুবীর সেনগুপ্ত