//সংযমী হলে সংঘাত নেই//


সংঘাত আমি হারিয়ে ফেলেছি
সেদিনের সেই সন্ধ্যাবেলায়
শেষ সংঘাতও সেই সেদিনের
জাগিয়ে রেখেছি মনের পাতায়।


ইচ্ছে করলে, হারানো কী যায়
চলার পথের সংঘাতগুলো!
নিশ্চয়ই যায়, তাও বুঝে গেছি
বুঝেছি বলেই, মনে ভরা আলো।


চাইনা চাইনা, আমি তো চাইনা
কেউ কী চাইবে কোনো সংঘাত!
জানিনা, তবুও বলতেই পারি
সবাই তো চায় শান্তির স্বাদ।


সংঘাতে যেতে হবে সবাইকে
ছোট সংঘাত, বড় সংঘাত
বড় কার হবে, সে কী ধনী লোক!
আর গরীবের ছোট সংঘাত।


দোকানে জিনিস কিনতেই আসি
জিনিস কিনব, দিয়ে দেবো দাম
সংঘাত হয়, কেন তা জানিনা
হয়ে থাকে গম্ভীর পরিণাম।


সভা সাক্ষাত আর অধিবেশন
অনেকের কথা চলতেও থাকে
কথা শুরু হয় অমায়িক ভাবে
পরে সংঘাত সভা দেয় ঢেকে।


কী বলতে চাই, তাই তো ভাবছি
আমরা কী গড়ে ফেলি সংঘাত!
নিজের ভাবনা রাখতে অটুট
সংঘাতে গিয়ে ঘাত প্রতিঘাত।


সংঘাতে আমি যাবো না, যাবো না
করা কী যায় না এমন এক পণ!
কথা কাটাকাটি শুরুর আগেই
ছাড়লেই হয় সভার আসন।


বহু সংঘাতে আমিও পড়েছি
কষ্টের সম্মুখীনও হয়েছি
ঠেকে ঠেকে কিছু শিক্ষা হয়েছে
বিবাদের আমি শত্রু হয়েছি।


সংঘাত থেকে দূরে থাকা যায়
সম্যক রূপে হয়ত হয় না
কিছু ছোট সংঘাত এসে গেলে
দূরে ঠেলতেও ঝামেলা হয় না।


শান্তিতে থাকা নিজের উপর
আর তা থাকতে, কী করা উচিৎ!
ভাবনা নিজের নিয়ন্ত্রণেই
সংযম ছেড়ে দেওয়া অনুচিৎ।


সুবীর সেনগুপ্ত