সেবার আমার জ্বর এসেছিলো…
সারেনা, সারেনা, কিছুতেই সারেনা।
শেষ তক, হাসপাতালের সাদা বিছানায়
শয্যাশায়ী হতেই হলো। জ্বরে যখন গা ফাটে,
ঘোরের মাঝে সেবকরা এসে কত সূঁচ ফোটালো!  
রক্ত পরীক্ষা করে ডাক্তার সাহেব রায় দিলেন,
‘আন্ত্রিক জ্বর, চিকিৎসা চলবে বেশ কিছুদিন’।  
কি জানি কোথা থেকে তুমি খবর পেয়েছিলে,
একদিন বিকেলে দেখি-শয্যাপাশে দাঁড়িয়ে তুমি।
কলেজ ছুটির পর স্বল্প সময়ের জন্য এসেছিলে,
বিস্ময় বিহ্বলতার ঘোর কাটতে কাটতেই দেখি,
তুমি ফিরে যাবার জন্য তৈরী, তুমি চলে গেলে!


সেদিন তেমন কোন কথা হয়নি।
শুধু একটা অনুচ্চারিত ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিলে-
অমীমাংসিত ভালোবাসার। কপালে জলপট্টি দাওনি,
হাতটাও স্পর্শ করনি, শুধু কালো চোখের ভাষায়
কিছু ভাসা ভাসা অস্পষ্ট ইংগিত দিয়ে গিয়েছিলে।  
তারপর কখন যেন হুট করে নেমে এসেছিলো সন্ধ্যা;
আর ঘোরের মাঝেই পার হয়েছিলো বাকীটা রাত।  
মাঝ রাতের দিকে খুব জ্বর আসতো, তাই-
সেবকেরা বিছানার পাশে রেখে যেত আইসব্যাগ।
সে রাতে আইসব্যাগটা যেন তোমার হাত হয়ে উঠেছিলো।
চোষ কাগজের মত কপাল জুড়ে ঘুরে ঘুরে শুষে নিয়েছিল
আমার যত জ্বর। আর, সে রাতেই আমার জ্বর ছেড়ে ছিল…


ঢাকা
২৫ জুলাই ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।