তুমি একবার কাশবনে হারিয়ে গেলে।সেই থেকে
কাশফুলের মাঝে আমি তোমার গায়ের গন্ধ পাই।
এবার শরতে আমি এক কাশবনে বেড়াতে গিয়েছিলাম,
ওটা নয় যেখানে তুমি হারিয়েছিলে।অথচ কি আশ্চর্য দেখ,
ওখানেও সেই পরিচিত গন্ধ।কে জানতো,পৃথিবী জোড়া
সমস্থ কাশফুল এখন তুমি?এক একটা কাশফুল আমায়
ছুঁয়ে যায়,যেন তোমার কোমল হাতের স্পর্শ।সেই লোভেই
কিনা কে জানে,ওখানে এক কুড়ে ঘরের মালিকানা স্বতঃ কিনে
নিয়েছি।ভরা পূর্ণিমা তোমার খুব প্রিয়,এখন  থেকে প্রতি
পূর্ণিমায় কাশফুল আর আমি,মানে তুমি আর আমি একসাথে।


কাশফুল গুলো যখন আমায় ছুঁয়ে যাচ্ছিল, এক একবার
মনে হচ্ছিলো আমিও একটু ছুঁয়ে দেই,দুঃসাহসে ভর করে
আগে কখন স্পর্শ করিনি তোমাকে,তোমার কোমল শরীর
আমার কঠিন হাতের স্পর্শে কম্পিত হোক, চাইনি। কিন্তু
আজ বড্ড ছুঁতে মন চাইছিল। ছুঁতে যেতেই কাশবনে
সে কি আস্ফলন!বাতাসের শো শো শব্দে আমি ভয়
পেয়ে পিছিয়ে এসেছি।তবে কি তুমি বাতাসের সাথেও
করেছ সখ্যতা?শব্দের গালে চপেটাঘাত করে করেছি
কবিতার সাথে সখ্যতা,সেই আমিই কিনা সখ্যতার
স্বরূপে ভীতু কাপুরুশের মতো পিছিয়ে এসেছি?ওখানে
চিতার আগুন,আর অগ্নিকে আমার ভীষণ ভয়।


সব টুকু নয়,প্রিয় কাশবনের শুভ্রতা আর আবেশ
টুকুই চেয়েছিলাম,ঝিরি ঝিরি বাতাস,রুপান্তরের
ছোঁয়া।কাশবনে আমার ছোট কুড়ে ঘড়, এসো
একবার,কাশবনে মিশে যাওয়া প্রিয়তমা তুমি।