তুমি চলে যাওয়ার পর পর আমি মিলিত হয়েছিলাম
অন্য এক নারীর সঙ্গে। যৌবন তাড়িত আর সব
ইতর প্রাণী দের মতোই আমিও মিশেছিলাম আলাদা
গহব্বরে।না, আমি ঘর ছেড়ে বাইরে কোথাও যাইনি,
হাল্কা মেঘের মতো উড়ে উড়ে সেইই এসেছিল ঘরে।


তুমি চলে গিয়েছিলে সদ্য ফোঁটা শিউলি মাড়িয়ে,তার
একটু পরেই খোলা জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে ছিল মেঘ,
রাত জাগা মানুষের মতো আমি তখন ঘোরে,আমার
মাথার ভেতরে তখন সুনীলের ১০৮তা নীল পদ্মের অলস
গড়াগড়ি,চোখের সামনে নীল আলোর হাতছানি।আমি
মোহগ্রস্থের মতো মিশে গেলাম নীলচে আলোর শরীরে।


কোন কথা না বলে,শুধু উন্মত্ততার হুঙ্কারে অন্য নারী
দেহে যথেচ্ছা ভ্রমন করে আমি তখন ক্লান্ত অবসন্ন।
আমার জ্বলজ্বলে আবেগের আগুন নির্বাপিত প্রায়,ঐ
মুহূর্তটি তোমার কাছে যাই হোক,আমার কাছে তোমার
জ্বেলে দেওয়া প্রবল অগ্নির পরাভব মনে হয়েছিল।


এবার আমায় বেরুতে হবে।
সমুদ্র তটে, পাহাড় চুড়ায়, মেঘের রাজত্তে......
কোথাও না কোথাও যেতে হবে।অনেকদিন তো হলো,এবার
আমি এমন কোন জায়গায় আঁকব পদচিহ্ন,যেখানে বরফের
খাঁজেও প্রয়োজনীয় উষ্ণতার অভাব হবে না।