আমি এমন ভাবে চাইনি, যেভাবে এতদিন
চেয়েছে খদ্দের সময়ে অসময়ে। চেয়েছিলাম
তোমার স্নানরতা ভঙ্গি,আত্মভোলা।তোমার
দুর্বিনীত শরীরের উদ্দাম আকর্ষণে  মাতাল
হতে গিয়ে প্রবল অগ্নিকুণ্ডে পুড়ে যাওয়ার ভয়ে
আমি বারবার ফিরে এসেছি এক শীতল পুরুষ।


এই রকম একটি মুগ্ধ দৃশ্যের জন্য
অনেক কাল আমি দাঁড়িয়েছিলাম স্নান
ঘরের দরোজায়।খিড়কির ওপাশে অবিরত
জলের ধারার শব্দ আমাকে মোহগ্রস্থ করেছে।
তুমি জলের কাছে নিজেকে বস্ত্রাভার থেকে
মুক্ত করে দাঁড়িয়ে আছো, কম্পিত হাতে আমি
দরজা স্পর্শ করতে গিয়েও ফিরে এসেছি। অথচ
আমি চেয়েছিলাম তোমার স্নানরতা ভঙ্গি,আত্মভোলা।


এক বর্ষায় আমি নিজেই ভিজেছিলাম প্রবল জলে।
আত্মভোলা পথিকের মতো প্রবল জলে হাঁটতে
হাঁটতে আমি দেখেছিলাম বৃষ্টি ভেজা এক নারী।
গায়ে লেপটে থাকা শাড়িতে তার উদ্ধত যৌবনের
সাজ। আমার চোখের সামনে যেন দেখলাম তোমার
স্নানরতা ভঙ্গি। প্রবল ভাবে আমি তখন আয়ত্ত করি
নিজেকে। ফিরে আসি ঘরে আমি এক শীতল পুরুষ।


এরপর বৃষ্টি এলে আমি আর ভিজবনা জলে।