ফেরী,


একটা ভয়ঙ্কর সত্য তোকে জানাতে চাই।তুই হয়তো
অবাক হবি। আমার জল তেষ্টা পেয়েছে। দু’এক আজলা
বা দু’এক গ্লাস জলের তেষ্টা নয়, পুরো এক নদী জল চাই
আমার।সেই যে, সেবারের মত, তোর মনে আছে নিশ্চয়ই,
যমুনা গিলেছিলাম,এপার থেকে ওপাড়।এবারো সে রকম,আকণ্ঠ
পান করে শীতল হবো।এক ফোঁটা জল এবার অবশিষ্ট থাকবে
না সমুদ্রে যাবার।


এইভাবে শুকনো গলায় অনেকদিন আছি। গেল জ্যৈষ্ঠে এক
কবি বন্ধু বলেছিল, “সামনের আষাঢ়ে যৌবনবতী হবে
দেশের নদী গুলো।তখন মিটিয়ে নিও তেষ্টা গলা অবধি”।
আষাঢ়ে দেখেছি বৃষ্টির নাচানাচি। মুগ্ধতায় ভুলেই গিয়েছিলাম
ভরা যৌবনের নদী। ।এখন মাঘ চলছে। কনকনে ঠাণ্ডায় হয়েছে
হাড় মরমরি রোগ আর এদিকে গলা শুকিয়ে চৈত্রের মাঠ।
যমুনার তো এখন বাড় বাড়ন্ত, অন্য কোন নদীর নাম বল,
বেশ চওড়া,নাদুস নুদুস চেহারার,টইটুম্বুর জলে।


অন্য কিছু নয়,আর কিছুতে লোভ নেই আমার।মহাজনী নৌকা,
পানসী কিংবা বজরা,নদীর মাঝখানে সবুজ চর, চাই নাঃগ্রাম্য
বালা, সাঁতার রত, যার প্রয়োজন নিয়ে নিক,আমার চাই জল।
তেষ্টা পেয়েছে আমার,জল চাই জেনে রাখ।


যদি খবর দিতে না পারিস সেরকম একটা নদীর,তবে লঙ্কাকাণ্ড
ঘটে যাবে সামনের চৈত্রে।সম্মুখে যা কিছু থাকবে,শুষে নিব জল।
আমার তেষ্টার কাছে কিছুই ফেলনা থাকবে না তখন।


খুব তারাতারি একটা নদীর নাম বল, নয়তো “ময়ূরাক্ষী” গিলবো এবার !!


হাসপাতাল রোড, জয়দেবপুর।।
১৮/০১/২০১৫।।