শুনেছ, কোন এক ক্রান্তিকাল মহাকালের বিষণ্নতার মন খারাপের সন্ধ্যায়, জোড়া খেয়া ঘাটে -
অন্ধকার আচ্ছ্বন্ন মহা প্রলয়ঙ্কারী আকাশটা ছিল!
জোছনা বিলাসী পূর্ণিমার চাঁদ ছিল।
আমার তপ্ত তণুর নব তারুণ্য পাড়ের দূর্বার অকুতভয় সাহস ছিল, জলের কূল কূল তান-পুরা ছিল।
ভরা নদীর যৌবন ছিল, ছিল জোয়ার ।
ছিলনা কেবল তরী, তীরে পার হবার।
জোয়ার ভাটায় তীরের তরীর নাকি সর্বনাস !
খরস্রোতই তার আপনসত্বা।
হারিয়ে যাবার ভয় থাকেনা।
থাকেনা কারো উতলা ঢেউয়ে নিজেকে ভাসিয়ে দেবার।
ঘর ছাড়া প্রেমিক যুগল তো আর এতটা জানিনা !
তাই  ওপারে যাওয়া হলো না।
নদী বেয়ে আর পালানো হলো না।
সমাজে ঘৃণ্য ইতিহাসও রচিত হলোনা।
যা হলো তা কেবল দুঃখ অন্তবাস।


এখন আর সহজে ভুল পথের পথিক নই।
দ্রোহের যে প্রেম , ক্ষণিক হাসিয়ে অনিমেষ কাঁদায়,
যে প্রেম ধিকি ধিকি পুড়াবে বলেই জন্ম নেয় বুকটায়,
সে প্রেমের অনিহায় স্বাধীন নিঃসঙ্গ রই।
সঙ্গ দেই কিছু বিরহের স্মৃতির চরণ ।
সঙ্গ দেই সন্ধ্যার পর নেমে আসা রাতটাকে।
সঙ্গ দেই জনম জনম ডুবে থাকা অন্ধকারে একা চাঁদটাকে।
নিদ্রাহীন রাত পাহারা দেই বাইশটি যৌবন মহাকাল।
অবহেলাময় নিদ্রাকে ঠাঁই দিয়েছি চোখের নিচে কালো কার্নিশে।
নিজেকে উদাশ চিত্ত্বে সুর করি বেদনার আলপিনে,
গেয়ে গান, আঁকি যন্ত্রণা আদি অন্ত সে বিনে।
সে'হীন আমার আকাশে এখনও রঙধনু আসে।
গোধূলী বিকেল আসে, উজ্জল প্রভাত আসে।
হাবিলাস আসে, আসে ক্রান্তিকাল।
পিছনের পিছুটানহীন যদিও আমি, পাষাণ অন্তর নই,
স্মৃতিরাই ডাকে আমায়,
ভাবায় মুছে যাওয়া কিছু বসন্ত;
কষ্টরা অ-নিশ্রিত প্রায় অবাধ্য চোখের জলেই।


২২-০৭-১৭