জীবন বৈরাগী আজ গান গায়..তার আপন কষ্ট বুনে।
সুরে মাতিয়ে মাতাল করে যায় বেদনার অঙ্গরাজ্য।
আমি হৃদয়টাকে বন্দি করি দুঃখের করাগারে ,
আমি ছুটে চলি কারো মরিচীকাময় সুখের প্রাতকালে।আবার কারো জীবনের সঙ্গ দেই অনন্তকাল কামনার প্রহরে...।


আমি হাসতে জানি, তবে শত বেদনা লুকিয়ে ।
আমি কাঁদতে জানি, আঁধারের আলো চাঁদের জোছনা জড়িয়ে।
আমি নিজেকে বিলিয়ে দেই স্মৃতির মোহনায়।
যেখানে রেখে এসেছি আমার-
কৈশোরের সুখ , শান্তি আর ক্রান্তিকালের অপর্যাপ্ত ইচ্ছে কানন....।


আমি সুখের কক্ষ পথেই ছিলাম।
হঠাৎ চন্দ্রগ্রহণ...পা দিলাম যৌবনে ....
আমি অন্ধকারে নিমজ্জিত হলাম।
অপেক্ষায় ছিলাম রবি রশ্মির প্রখর আলোক আমাকে তার বক্ষে ফের জড়াবে....।
ফের আপন নিবেশে পরম আদরে তার বুকে মাথা রাখতে দিবে...
অনাবিল ভালোবাসার বৃত্তে আটকে ফের নতুনত্ব স্বপ্ন সঞ্চারিত পথের সন্ধান দেবে।
আমি আবার সজীব হবো।
নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে।
তা আর হয়ে উঠেনি।
এই ঘর, এই সংসার, এই সমাজ আমাকে নতুন পথে যেতে দেই নি।
ঘুরে দাঁড়াবার সুযোগ দেই নি।
প্রাণ খুলে হাসতে দেয়নি।
রাতের আঁধারেও কাঁদতে দেয়নি।
আমাকে কোণঠাসা করা হয়েছে।
আমাকে মৃত্যু কূপে নিমজ্জিত করেছে।
আমার প্রাণবন্ত জীবনের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার নারীত্ব।
আমার সতীত্বের দোহাই আমাকে পিছিয়ে দিয়েছে বারংবার।
আমাকে পিছন ফিরে আজন্ম আঁকড়ে রেখেছে কিছু অযাচিত নিয়মের গন্ডি...
শেষে আমাকে বাঁধা দেয়া হলো,আমি সুখের খোর়াক ললনা বলে...
আমাকে দমিয়ে দেয়া হলো ,আমি অবলা তনয়া বলে...
আমাকে এভাবেই নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে প্রতিনিয়তই-
আমি নারী বলে..আমি নারী বলে....।


28-08-07
নারায়নগঞ্জ।