সরকার করেছে ঘোষনা-
প্রতিটি পরিবারে কমপক্ষে দুইজনা
থাকে যদি সন্তান-সন্ততি,
সব চেয়ে বেশী খুশী সেই দম্পতি,
সুখী পরিবার।
       ভবিষ্যতে বড় আশংঙ্কা-
       যে হারে বৃদ্ধি হচ্ছে জনসংখ্যা
      নিয়ণ্ত্রনে নেই কোন গতি,
      বাড়লে কি যায় আসে কি হয় ক্ষতি ?
      প্রশ্ণ করি সার !


তাই সুদৃঢ় সিদ্ধাণ্তে
পরিকল্পনা করেছি একান্তে
একটিমাত্র জন্মে সন্তান
সন্তুষ্ট আমি,অমত বেগম-জান
নয় তিনি রাজি।
          প্রায় বিশ-পক্ষ বিগতে
          বুঝিয়েছি নানান- কোনমতে
          দিন-কাল পড়েছে যা-
          হয় হবে ভবিষ্যতে দেখা যাবে তা
          খেলা ধরি বাজী।


কি করিবে মৃত্যু বা শয়তান,
তার মাথার উপর আছেন ভগবান
রক্ষিতে মান জন্ম সু-পুত্র
প্রথম ও এককস্থান অধিকার সুত্র
একটা সন্তান।
          এত বুঝিবারও পরে-
          প্রিয়া প্রেম-সুরে কয় ক্ষীণ-স্বরে
          মোর কাছে এসে  তাই
          মৃদু-মৃদু গাল ভরা হাসি, "চাই-
          -আরো একখান"।


মোর যত পরিচিত ব্যাক্তিবর্গ
আপনার না করি নিয়মের খর্ব-
'ওরা দুই, ওদের দুই' নব প্রজন্ম-টা
ক্রম বংশ বিস্তার, 'বটা'গেলে আছে 'ঘটা',
রক্ষিতে স্ব-বংশ।
         "আমি ত যাব চলিয়া-
         তোর কি হবে রে কালিয়া;"
         এই উক্তি যেন কটুক্তি অশনি সংকেত
         আশায় বাচেঁ চাষা শূণ্য হতে ভরপুর খেত,
         যদি বাচেঁ অংশ।


একটামাত্র হবার দায়-
আবদারে যখন যেটা চায়;
কিনে দিয়েছি অনায়াসে,
সংকোচহীণ সু-দীপ্ত প্রয়াসে
আমার-ই মন।
          মেনে নিয়েছি অন্যায় আবদার
          অধূনা বাহির হয়েছে যত সব 'শুষ্ক-খাবার',
          আজ-কাল আমি স্বয়ং দীন হীনে
          ভালো সাজতে তথাপি দিয়েছি কিনে
          সদা সর্বক্ষণ।


গিণ্ণি কয়-"এ সব কি কিনে দাও !
সত্যি যদি দিতে কিছু চাও,
কত আছে ফল-মূলাদি সুষম খাদ্য
কিন্ কেন 'ছাই-পাস' যত সব ঊপপাদ্য,
আঃ মরণ দশা"।
              ভাবি আমি 'এ কেমন জননী বটে,
              মাথা খারাপ নাকি নেই কোন ঘটে,
              দেখ্ছো ছেলেটা ধরেছে আড়ি-
              খাবারটুকু মাটিতে ফেলিলে কাড়ি',
             দেখ্ কি সমস্যা'।


আমার ট্যাঁকে নাই-রে কড়ির জুরী-
মহাশয়া আবার দেখান বাহাদুরী
তাই দু-একটা লুকিয়ে দিতাম এনে,
যদি যায় জেনে, লুকিয়ে দিতাম এইকারণে-
হব ভালো বাবা ।
                আজ-কাল সর্বত্র হাটে-বাজারে
                লোভার্ত 'শুষ্ক-খাদ্য' আমদানী কাতারে-কাতারে
                ছাইপাস নয় বিষ-প্রয়োগ সিদ্ধিস্বার্থ
               'ভেজাল সামগ্রী' এমণ এক রাসায়ণীক পদার্থ,
               মোর নাই ভাবা।


ক্রমে ধীরে ঢলে পড়ে মৃত্যু যণ্ত্রণার দুখে-
মোর শিশুসহ হাজার সন্তানহারা পিতৃ সম্মুখে,
তাদের কি ছিল অপরাধ ?
একটি মাত্র সন্তানের সাধ;
নাকি অন্য কিছু।
               অপরাধ গ্রাস করে স্বয়ং অবনী-
               আজও হাহাকার করে কত জননী,
              শূণ্য করে চলে গেছে যারা মাতৃকোড়
              ফিরবে কি তারা? ওরা শাস্তি পাবে বড়জোর-
              অপরাধ পিছু।


কিন্তু, আমার সে অপরাধ-
ঠুকরে কাঁদায় ভাবি যত নির্ঘাত,
আমার দিকে অপরাধের আঙ্গুল তোলে,
সমাজ-সংসার বেঠিক সিদ্ধান্তের কথা বলে-
ভাগ‍্য অপ্রসণ্ণ।
            দেখি যত পত্নীর বিরস বদনখানা
            নিজেকে ঘৃণীত লাগে সব যেন অজানা
            প্রমান হয়েগেছে আমার সিদ্ধান্ত অযোগ্য
            কপালে লিখা ছিল এই দুরাভোগ্য
            শুধু মোর জন্য।