শত-সহস্র দীন-দুখী মানুষের করুণ আর্তনাদ
দুনয়নের বারীধারা যেন নিদারুন সহসা বিষাদ
জরাজীর্ণ ক্ষত-বিক্ষত বৃক্ষসারী
দুই পাড়ে হাহাকার করে দাঁড়ি,
প্রকান্ড কান্ডগুলি কঙ্কাল সার করিছে নিনাদ
ডাল-পালা বক্ষ চাপড়ায় সংযুক্ত বাক-বিবাদ,
বর্ষায় ভরা যৌবনা অনন্ত প্লাবন
মোরা দ্বীপবাসী ঝরাই অশ্রুশ্রাবণ
চুলচেরা দুর্যোধনী অঙ্কে আজ অতিষ্ট অবস্বাদ,
রণক্ষেত্রের শোনীত নিঃসৃত ধারা বহে উণ্মাদ ।


সৃষ্টিতে অক্র-বক্র সরীসৃপ রূপরেখা পাতা ফাঁদ
মর্ত্যেে প্রবাহ মহাদেবের জটা চিরে-স্বর্গের ছাদ ;
প্রেম বিরহিণী রাধা অভিসারী-
আঁখী তাঁর ঝরায় অজস্র বারি,
গিরিশীর্যে সঞ্চিত শৈত্যভ নিম্ন প্রবাহ গহ্বর-খাদ
ধ্বংস-লিলায় দেখাও মার ভোররাতের ওস্তাদ
তোমার ভয়ে অতিষ্ট জীবণযাপন
সপেছি তোর পদতলে মরণ-বাঁচন
দুকুল ঝাঁপিয়ে প্লাবীত কর কেড়েছ শখ-আহ্লাদ
বক্ষমাঝে জলছবিতে দেখেছি একফালী চাঁদ।।


সেদিন সে পুলকীত মাধবী জ্যোৎস্না স্নিগ্ধরাত-
ধূ-ধূ বালু নিশীথ কাটি' ঐ পথে চলেছ সুপ্রভাত
অসময় বেগতিক ভাবে হারাও যদি!
আমি কি করে ভাবি তুমি সেই নদী ?
কি আছে প্রমান ! যে মাঝী খেয়া ডুবায় হঠাৎ
তুমি কি ভেবেছ তার মনের অবস্হা, অকস্মাৎ
তরী হারানোর যন্ত্রণা, দায় কার ?