অমোঘ শক্তির কবি! কতোকাল লুকাবে তোমায়
হতভাগ্য অন্ধকারে? হৃদয়ের দুঃখ-বেদনায়
পিষ্ঠ হতে হতে তুমি নিরন্তর ব্যথা নিয়ে খেলো;
ভোরের চাঁদের মতো মরা চোখে পৃথিবীকে দেখো।
হে অপরাজেয় কবি! হৃদয়ের কথাগুলো বলো
দিনের আলোর ন্যায় স্পষ্ট করে। মানুষের মনে
সঞ্চারিত করে দাও বস্তুনিষ্ঠ সাধকের মতো;
কেটে যাক অন্ধকার আলোকের স্পর্ধিত ছোঁয়ায়।
অনির্বাণ সুন্দরের প্রতিচ্ছায়া তোমার অন্তর,
বিকশিত হোক আজ সুললিত জ্ঞানের কথায়,
বাহুল্যহীন যুক্তিতে। মানুষের অতল বিশ্বাসে
জাগরিত হোক এই পৃথিবীর সমাজ-সংসার।
অতঃপর, চলে যেও অন্যলোকে সব কিছু ছেড়ে-
বিত্ত-বৈভব, সুনাম; যতো কিছু করেছো অর্জন।
আগামীর প্রয়োজনে চিন্তায়, চেতনে ধরণীতে
বৃক্ষ হও, জীবনের জঞ্জাল সরাতে বৃক্ষ হও।
মানুষ বৃক্ষের মতো জ্ঞানবান হলে মহাবিশ্বে,
মৃত্তিকার এ গ্রহটি সুন্দরের পথে ছুটে যাবে,
স্বপ্নের বাস্তবায়নে অসীমের পথ পাড়ি দেবে।
অসীম শক্তির কবি! বৃক্ষ হও চিন্তায়, মননে।


০২/০৯/২০২৩
আন্তর্জাতিক অতিথি ভবন
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, শেরপুর, রংপুর।