কী যাদু দেখাইলি মর্ত্যভূমে এসে,
স্বর্ণময়ী আমাদের এই বাংলাদেশ?
বাবা-মা-ভাই হারা দুখিনী নন্দিনী,
স্বর্গ থেকে এলি তুই বাংলার জননী।
সহস্র সাহসী কণ্ঠে উচ্চারিত আজ-
'সাবাস! দুর্বার এই বাঙালি সমাজ'।
আজ ফিরে চাই যদি একাত্তর সালে,
বহু দেশ ছিলো শত্রু স্বার্থবাদী তালে।
বাঙালির স্বাধীনতা চাইতো না যারা,
শত্রুদের মিত্র ছিলো অমানুষ তারা।
রঙ্গরসের তামাশা ওরা করেছিলো,
ক্ররহাসি হেসে তারা আরো বলেছিলো-
দুখিনী জননী তোর তলাহীন ঝুড়ি!
ফুল ফোটার আগেতে ঝরে যাবে কুঁড়ি ।
এ দেশ হারিয়ে যাবে অতল গহ্বরে;
কিন্ত, তু্ই সাহসিনী হতে দিলি না রে।
সেটাতো হলো না, তাই করে হায়, হায়!
'শত্রুতা ধ্বংসের নয়'- তারা বলে যায়।
আজো তারা কথা-কর্মে করে রে ছলনা,
বাংলাকে বানাতে চায় তাদের খেলনা।


তুই মেয়ে সাহসিনী অসীম বিক্রমে,
অগ্রগতির সোপানে যা'স ক্রমে ক্রমে।
সকলের সাথে মিলে নিজ শক্তিবলে,
সস্মুখে এগিয়ে যাস দৃঢ় পাও ফেলে।
পৃথিবীর সমতালে হেঁটে যাস মেয়ে,
অযুত বিস্ময় নিয়ে থাকে সবে চেয়ে।
দৃঢ়তার দৃঢ়পদে, জোরকদম হেনে,
এগিয়ে যাস রে তুই নিজ-লক্ষ্য পানে।
অকুতোভয়, দুর্দম বাংলার নন্দিনী,
এ দেশকে নিয়ে এলি ক্ষুধা-মৃত্যু জিনি'।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীলে;
একীভূত করে দিলি মিলে ও অমিলে।
অতঃপর, লক্ষ্য তোর উন্নত দেশের,
ধ্বংস করে দিতে সব ক্ষোভ ও হিংসের।
জননীর রূপ ধরে ভালোবেসে গেলি,
জনতার উন্নয়নে সান্তনা যে পেলি।


যুদ্ধবিধ্বস্তের এ সুফলার দেশে,
বিজিত শত্রুরা সব নূতন মুখোশে
ক্ররতায় এসেছিলো হত্যাযজ্ঞ নিয়ে,
অবহেলা করে সব চলিলি এগিয়ে।
তারা জোর টেনেছিলো পিছনে নেয়ার,
ভয়হীন মেয়ে তুই করলি না 'কেয়ার'।
দূরদর্শী দর্শণের অমোঘ ছোঁয়ায়,
প্রতিক্রিয়াশীল যত অতলে হারায়।


'বুভুক্ষু ও ভিক্ষুকের জাত' বলে বলে,
তারাই নাক সিঁটকাতো কথার কৌশলে।
তুচ্ছ ও তাচ্ছিল্যে দিতো অপবাদ যারা;
স্তম্ভিত, গম্ভীর আজ সচকিত তারা।
বিপুল জনগোষ্ঠীর খাবারের জন্যে,
হাত পাতে নাতো দেশ, হয় নাকো হন্যে।
বিস্ময়ের বাংলাদেশ, অতি চমৎকার!
অমিত সাহসী মেয়ে তুই যে বাংলার।


বিমোহিত বিশ্ববাসী অতীব বিস্ময়!
ধারদেনা, মাথা নিচু করে কভু নয়;
আঁচলের খুঁট খুলে নিজের টাকায়,
পদ্মাসেতু বানাইলি বিশ্ব চমকায়।
বাতাসের তোড় কেটে মেট্রো চালাইলি,
নদীর তলা দিয়ে টানেল বানাইলি।
'এক্সপ্রেস ওয়ে' করে বাচাইলি সময়,
জনতার দরদিনী আজ সবে কয়।
পরমাণুর শক্তিকে তুই নিয়ে এলি,
আমাদের যন্ত্রণাকে লাঘব করিলি।
আর কতো উন্নতির দিবো বিবরণ,
জনগণ জানে সব, যারা সচেতন।
সময়ের সাথে সাথে জোরপাল্লা দিতে,
হেঁটে গেলি দ্রুতবেগে ভয়হীন চিতে।


বলতে পারে না কেউ- 'যথেষ্ট, খামোশ'!
তাই বুঝি তাহাদের মনে আফশোশ।
অন্যায়ের প্রতিবাদে শক্তি যোগাইলি,
ও বেটি, জননী! তুই যাদু দেখাইলি!
তুই হ'লি বাংলাদেশে অমর্ত্য-সন্তান,
কাব্য সুরে গেয়ে যাই তোর জয়গান।
সুন্দর মনন তোর হাসিনা যে নাম,
জাতির পিতার মেয়ে এই জানিলাম।


০৯/০৯/২০২৩
ঢাকা।