অনন্তের রূপময় স্বর্গ-সিঁড়ি বেয়ে
এসেছিলে পৃথিবীতে, হে সুন্দর মেয়ে।
সেই রূপধারা দেখে প্রকৃতির সকল সৌন্দর্য
ম্লান হয়ে গিয়েছিলো। হে সুন্দর! তোমার বিদগ্ধ
স্নিগ্ধ রূপের অমোঘ ছোঁয়া নিতে বুঝি
সেজেছিলো এ প্রকৃতি; যাকে আজও খুঁজি।
অনন্ত বিস্ময়ে জাগি সারা রাত; নিদ্রাহীন চোখে
বিরহের কালি জমে, ব্যথা জাগে বুকে।
তোমাকে পাবার ইচ্ছা এ অশান্ত বুকের ভেতরে
জেগে ওঠে তোলপাড় করে।
অনন্তের দুঃসাহস জলোচ্ছ্বাস সুনামীর মতো
আঘাত করে আমার মননে সতত।
সমাজের বেড়ি এসে ঘিরেছে আমায়,
পাইনি ভুবনে তাই কাঁদি বিরহের বেদনায়।
সোহাগকাতর মন দুঃসহ সংসারে
অহরহ কেঁদে যায়, তখন তোমাকে মনে পড়ে।


এই জাতপাত সব স্বার্থবাদী মানুষের তৈরী,
মানুষেরে সৃষ্টি করে মানুষের বৈরী।
যখন ধর্ম ছিলো না এই পৃথিবীতে,
যখন ছিলো না জাতভেদ মানুষের চিতে;
যখন রাষ্ট্র নামের বেড়িজালের বিভক্তি ছিলো না ভুবনে,
মানুষেরা ঘুরে বেড়াতো আপন মনে।
তখন ছিলো না কোন পাসপোর্ট, ভিসা
এবং স্বকীয় মুদ্রা, পৃথিবীতে ছিলো না জিগীষা।
তখন পৃথিবী ছিলো মানুষের ভূমি,
ছিল না হিংসা বিদ্বেষ, হানাহানি আর গোঁয়ার্তুমি।
অনাবিল মানুষের সহজিয়া মন
প্রেমের জৌলসে ভিজে পরস্পর হতো যে আপন।


১৪/০৬/২০২৩
মিরপুর ঢাকা।