আলোময় চেতনার পাথর ফলকে গেঁথে আছো তুমি, ত্রিপুরকাঞ্চন!
মনে র'বে তুমি দীর্ঘ-দীঘল সময় ধরে, আমরণকাল।
প্রেমের আবহে গড়া কোনো শুভতার সমাপ্তি হয় না কখনো;
শুভতার সব জ্যোতি  হৃদয়কে করে তোলে ঘোর উন্মাতাল।
ওগো ত্রিপুরকাঞ্চন! পাহাড়ি কন্যার মতো নেমে এলে ঝর্ণাধারা হয়ে,
ভালোবাসা-সম্প্রীতির পুষ্প নিয়ে হৃদয়ের নিটোল ডালিতে।
মৃগনাভ আতরের গন্ধরাজি এবং চন্দন সুবাস ছড়ালে লোকে লোকে;
নিটোল আনন্দ আনো মন-সাগরের মনোরম মিহি সৈকত-বালিতে।
দলবেঁধে এসে কবি ও মানুষ অবগাহন করেছি; হয়েছি আপ্লুত;
ওগো ত্রিপুরা সুন্দরী! যে ছাপ ফেলেছো মনে, স্মৃতির পর্দায়;
যেন পুজারির চোখে মৃত্তিকার মুরতির সৌন্দর্যের ললিত কাঠামো।
শতরূপে শতগুণ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিলো ত্রিপুরাবাসীর আল্পনায়।
মোহিত তোমার প্রেমে, তুমি যেন পাশের বাড়ির ঘোমটাপরা সেই মেয়ে;
যতো ভাবি বিমোহিত হই, ঘনিভূত সম্পর্কের আশা নিয়ে থাকি চেয়ে।


১৪/০৮/২০২৩
হোটেল কসমস
আগরতলা, ত্রিপুরা।