নেই,
কিছু নেই;
কিছু নেই জীবনে আমার।
ভালোবাসা নেই, হৃদপিণ্ড নেই, নেই হাহাকার!
জীবনের ভয় নেই কোন বিশ্বময়,
নেই কোন হারাবার ভয়।
নাট্যময় জীবনের অনন্ত সংলাপে,
জমা আছে শুধু মনস্তাপে
অতুল বিপুল-ব্যাকুলতা;
তিক্ত অভিজ্ঞতা-
ব্যর্থতা, আক্ষেপ, বাঁচার তাগিদ আর
দুরুহ বিস্তর পারাবার।
আর কিছু নেই;
নিজের ভেতরে তাই, নিজেই হারিয়ে ফেলি খেই।
সবকিছু ছেড়ে ছুটে চলি আর চলি...
এবং নিজেকে প্রশ্ন করে শুধু বলি-
'হে আমার দমিত আবেগ!
তুমি কি ওই দূরের আকাশের মেঘ?
পিছুটানহীনভাবে নিরুদ্দেশে চলো;
কোথা যাও বলো'?


নেই-এর মতো শূন্যতার মাঝেও অজস্র বকুল,
মিষ্টি বৃষ্টির রাত্রিতে ফোটে ওঠে ফুল-
সুগন্ধময় জুঁই, চামেলি,
যূঁথি, কুন্দ, বেলি;
তাদের মায়ার বেঁচে রও।
পরাস্ত জীবনে বাঁচিবার কথা কও।


ওই যে তোমার পাশে চন্দ্রিমার মতো,
সমস্ত যৌবন নিয়ে হাসে অবিরত;
ডাকে ইশারায়-
'ওরে মেঘ! আয়, আয়, আয়'।
কিভাবে তা অবহেলা করে
একা যাবে সরে,
দূর অনন্তের পারাবারে,
নিঃসীম অজানা অন্ধকারে?
একবার ভাবো নিরিবিলি,
অন্তর নয়নখানি খুলি;
জীবনের গ্লাসে
এখনো অর্ধেক পূর্ণ আছে।


১২/১০/২০২৩
ঢাকা।