কখনো তোমার কান্না করার প্রয়োজন যদি হয়,
গৃহকোণ একা নিরিবিলি বসে কেঁদে নেবে নিশ্চয়।
দুঃখের কথা ইনিয়ে-বিনিয়ে মানুষের কাছে বলে
কান্না করো না কখনোই তুমি মৃত্তিকা-মহীতলে।
তোমার কাঁদার কারণ লইয়া ঠাট্টা করবে সবে,
দুঃখের মাঝে দুঃখের বোঝা আরো বেশি বেড়ে যাবে।
বিরহ-দহন, বেদনার কথা বলিও না কারো কাছে,
অন্যসকলে রঙ্গ-তামাশা করবে তোমার পাছে।
নিজের দুঃখ-যন্ত্রণা যত নিজের কাছেই রাখো,
সংগোপনের গল্পের মত নীরবতা দিয়ে থাকো।
হয়তো, কেউবা সান্ত্বনা দেবে, দরদ দেখাবে খুব,
প্রয়োজনকালে বাড়াবে না হাত, রবে নির্জীব, চুপ।
নয়নজলের নদী বয়ে যাবে দুঃখের জমি চিরে,
তোমার বেদন-দহন সময়ে আসবে না কেউ ফিরে।
মানুষেরা শুধু আনন্দ দেখে, সুখরস যায় চেখে,
দুঃখের কথা শুনতে চায় না কেহ ধরণীর বুকে।
সুখ আর দুখ পাশাপাশি চলে যেন দুই সহোদর,
মানুষ-জীবনে সুখের মতন দুঃখও নয় পর।
সুখ-দুখ নিয়ে পৃথিবীতে বাঁচা মানুষের সহজাত,
আনন্দধারা দিনের মতন; দুঃখ-বেদনা রাত।


১৬/০৪/২০২৪
মিরপুর ঢাকা।