বাঙালি জাতির ফুটন্ত গোলাপ-
ষোল ডিসেম্বর- বিজয় দিবস।
সময়ের শ্রেষ্ঠ যৌবনের উষ্ণ রক্তে সৃষ্টি।
শোধহীন রক্ত যে সকল মুক্তিযোদ্ধা
অকাতরে করে গেছে দান-
তাঁরা আমাদের পিতা,
তাঁরা আমাদের ভাই,
নারীত্বের চরম বৈভব- সম্ভ্রম হারায়েছেন যারা-
তাঁরা আমাদের মাতা,
তাঁরা আমাদের বোন,
তাঁরা শুদ্ধতম লড়াকু বাঙালি- প্রাণের স্পন্দন,
দেশ-প্রেমিকের প্রোজ্জ্বল নক্ষত্র।


আজ সারাদেশে, এই বাংলাদেশে কতো আনুষ্ঠানিকতা!  
একত্রিশবার তোপধ্বনী,
রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ;
স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল, পুষ্পাঞ্জলি,
সারি বেঁধে হাঁটা, নীরব প্রেমের শোক বিধুরতা!
মাঠে-ময়দানে-রাজপথে শ্লোগানে শ্লোগানে,
জাগরণী গানে আকাশ বাতাস মুখরিত;
রেডিও-টিভির চ্যানেলে চ্যানেলে বিশেষ সংবাদ,
ইউনেস্কোর 'মেমোরি অব দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে'
অন্তর্ভুক্ত করা বজ্রকণ্ঠ-
সাতই মার্চের কালজয়ী অমোঘ কবিতা!


ত্রিশ লক্ষ দেশপ্রেমী বাঙালির প্রাণ,
দু'লাখ মা-বোনের অপমানের গ্লানি
ভেসে উঠে সেলুলয়েড-ফিতায়।
এ রক্তের ঋণ শোধ করবার গর্ব নিয়ে উজ্জীবিত
আজকের শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতীক আমরা।
এসো, হাতে হাত রেখে দৃপ্তকণ্ঠে অঙ্গীকার করি-
এই বাংলাদেশ আমাদের আজন্মলালিত প্রেম,
এই বাংলাদেশ আমাদের প্রতীতির স্তম্ভ,
এই বাংলাদেশ আমাদের বিমুগ্ধ সন্তান!
বিজয় দিবস শুধু অনুষ্ঠান নির্ভর একটি দিন নয়;
আমাদের সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞ স্মরণের
বেদনার একটি দিবস প্রাণের গভীর থেকে।


১৫/১২/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।