বিনিদ্র রাত্রির এক সহযাত্রী আমি!
খুঁজে যাই হৃদয়ের বীণার আওয়াজ;
অন্তহীন সুখের পরশ পাহাড়ের
কিনারায়। শুনি সানাইয়ের ক্রন্দন
ধ্বনি বেজে ওঠে সুর অজস্র ধারায়
হৃদয়ে আমার; যেন করুণ মুর্ছণা
ঝরে পড়ে টলটলে সরোবর জলে।
তিরতির ছুটে চলে ধীরে ধীরে দূরে;
আরো অতি দূরে আশঙ্কার অজানায়!
প্রেমকাতুরে এ বিষন্ন হৃদয় কাঁদে
বিরহের বাঁকে নিতান্ত অবহেলায়।
আমি খুঁজে যাই রোজ সুখের ঠিকানা-
পুষ্পময় এক চাঁদনী রাতের সুখ!
রজত জোছনা নেমে আসুক ক্রন্দন
ভুলে, জীবনের পূর্ণতার সম্মোহনে;
উতলা প্রেমের গানে; অঝোর বর্ষায়।
শূন্যতার চোরাবালি; দুরাশার এক
বিশাল পাহাড়; অন্ধকারের সন্ত্রাস;
পাশবিক কামনার অশুভ শিৎকার;
ভেসে যাক সবকিছু শ্রাবণ-জলের
প্রচণ্ড প্রচাপে। অতঃপর, স্থির হোক
ক্লান্তিহরা প্রশান্তির স্বর্গীয় স্বপ্নের
সুখ, শরীরে মননে চেতনে চিন্তায়
মাধুর্যময় কর্মের কৌশিক বাহুতে।
ঝরে যাক অনাবিল সুখের আকর,
তোমার ওষ্ঠের সাবলীল উষ্ণতায়।
আকণ্ঠ তৃষ্ণার্ত আমি; শব্দের ঘুঙুরে
সুর তুলি, বেহুলার বিরহ-মান্দাসে
প্রতিকুলে ভেসে যাই। এমন যন্ত্রণা!
কার ভালো লাগে বলো? জগত-জীবনে
সুখের ধ্রুবতারাকে লক্ষ্যস্থির করে;
এসো হাঁটি, মধুর আলাপচারিতায়।


২৪/০৭/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।