আমি     বার বার আসি, এসেছি আবার তোমাদের পৃথিবীতে;
এই      মানব জনম স্বার্থক হলো যৌবন সঙ্গীতে।
          কখনো এসেছি লাইলির তরে, মজনু দীর্ঘশ্বাস;
          রজকিনী লাগি' সংসার ত্যাগী হয়েছি চন্ডিদাস।
          ফরহাদ রূপে এসেছি ভূধরে চেয়েছি শিরির পাণি,
          এডওয়ার্ড হই' সিম্পসন তরে সয়েছি কতোই গ্লানী।
          সিংহাসনের মায়া ত্যাজিয়াছি, চাহিয়াছি শুধু প্রেম,
          রাধার অধরে চুম্বন নিতে হয়েছি কৃষ্ণ শ্যাম।
          এইবার আমি তোমার লাগিয়া ধরেছি জীবন পণ,
          বিশ্ব ভূবনে তোমারে লইয়া নাচবো ঝনন ঝন!


এই      জগতের সব হীরা-জহরত তোমার পায়ের তলে
আমি    সযতনে দানি' শুধাবো তোমায়, 'যাবে তুমি কোন ছলে?'
          বার বার এসে তোমার পরশে তপ্ত করিয়া প্রাণ,
          প্রতি প্রভাতের বিমল আলোয় গাবো যে প্রভাতী গান।
          পৃথিবীর সব পুষ্প গাঁথিয়া একটি মালিকা করে,
          তোমার কণ্ঠে পরিয়ে দেবোই অতীব যতন ভরে।
          প্রেম সোহাগের শত বিমলতা ছড়াবো আকাশ তলে,
          বাউলের ন্যায় নেচে যাবো আমি তব নাম বলে বলে।
          তুমিই রাধিকা, রজকিনী তুমি, লাইলি-শিরির রূপ,
          তোমার পরশে ক্ষ্যাপাটে বাউল, নিশ্চয় হবে চুপ।


আমি   মহাকাল হতে এই পৃথিবীতে প্রেমের বারতা আনি'
শুধু     ছড়ায়ে দিয়েছি মানব-মননে, জানো নাকি অভিমানী!
         সকল লজ্জা, শঙ্কার বেড়া ভেঙে ফেলি দুইহাতে,
         প্রেমের সূর্য টানিয়া নামাই অপ্রেম অন্ধ-রাতে।
         চাঁদের আলোতে ঢেলে দেই আমি দুঃখবোধের জ্বালা,
         তারকার বুকে অগ্নি জ্বালিয়ে এক সুতে করি মালা।
         ছিঁড়ে ফেলি সব কূটিল অপ্রেম, শুদ্ধতাহীন যতো,
         সূর্যের বুকে নাচিয়া বেড়াই অবিরাম, অবিরত।
         বাঁধার দেয়াল ভেঙে যাবো আমি প্রেমের হাতুড়ি দিয়ে,
         জগত ব্যাপিয়া নাচিয়া বেড়াবো তোমায় দু'হাতে নিয়ে।


১২/১১/২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।