(১২)
তোমায় রেখেছি হৃদয়ের তলে সোনার পুতুল মেয়ে,
ঘুমের দেশের ঘুম পাড়ানিয়া আমি থাকি শুধু চেয়ে;
আমি যতো চাই গহীন ঘুমেতে হবো যে নিশ্চেতন,
পারি না যে তাই, শুধু জেগে থাকি তোমায় সামনে পেয়ে।


(১৩)
এ কি সুধারস! দিয়েছো আমায় মাতাল হই না প্রিয়,
যতো চেখে যাই ততো আরো চাই সে-ই সুস্বাদু অমিয়;
মাটিগন্ধী এ জীবন আমার কুজ্ঝটিকার ছলে
তোমার প্রেমের অমল ধারায় মমতায় ঢেকে দিও।


(১৪)
লোকে বলে আমি মদ্য খেয়েছি, মাতালের মতো চলি,
সবকিছু ভুলে দিবসে-নিশিতে তোমারই নাম বলি;
বোঝে না কেহই যন্ত্রণা-ভার দিনেদিনে কতো বাড়ে,
তোমার প্রেমের পরশে দিলাম সকলি জলাঞ্জলি।


(১৫)
নিশিদিন ডাকি, 'প্রিয় প্রিয়' বলে. প্রেমের মাধুরী দাও,
আমার পরাণ তোমারই তরে করুণায় তুলে নাও;
চুপ থাকো তুমি বলো নাকো কথা, শত ব্যথা বাজে বুকে,
দিতে আমি রাজি আমার পরাণ তুমি যদি নিতে চাও।


১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪
০১/০৬/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।


কেউ বলে- রুবাইয়াত বা রুবাই।
আবার কেউ বলে- শায়েরী।
আমি বলি- ‘চৈতন্যের জলধারা’।