প্রখর দুপুরে এসে একবার দাঁড়াও সম্মুখে
সবুজ পাতার বৃক্ষ; ছায়া দাও, প্রশান্তির ছায়া;
অলকানন্দার মেয়ে, অপরূপা, অনিন্দ্য সুন্দরী!
কী এমন ক্ষতি হবে, যদি তুমি এই হাত ধরে
নিয়ে যাও অন্যলোকে, স্বর্গকন্যা মেনকার মতো?
যেখানে নিয়ত ঝরে পাহাড়িয়া ঝর্ণার লহরী
ঝরঝর নিত্যকাল, সুশীতল জলসুখধারা।
মানুষেরা সুখ চায় প্রেমময় মানুষীর কাছে-
যাদের মননে প্রেম-ভালোবাসা মোহস্বার্থহীন;
নদীর মতোন ফল্গু, অবিরল নির্মলশীতল
জলধারা বয়ে আনে, অকরুণ মরুময় পথে;
তাতালো দুপুরে ঢালে প্রেমসুধা বিস্তৃর্ণ প্রান্তরে।


হেঁটে যাও ঝুমঝুম, কিন্নরির অদৃশ্য নূপুর
বাজে অলক্তরাঙানো গজদন্ত কোমল চরণে।
শরীরের স্বেদ থেকে আকুলিত খুশবু ছড়ায়-
জাফরান-কস্তূরিকা; অতি সূক্ষ্ম মোলায়েম গন্ধ।
ক্লান্ত পথিকের মতো যেচে যাই রমণীয় ছায়া,
অগণন মায়া মাখা অপরূপ মানুষীর প্রেম।
শ্রান্তদেহে ক্লান্তি ভুলে নিশিকালে প্রিয়তির কোলে
মাথা রেখে শুনে যাই প্রাণহরা শংকরারাগিণী।


১৫/০৭/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।