ছেলেটি এসেছে বিশ্ব কাঁপাতে বাংলায়;
মানুষের কথা, মানুষের ব্যথা বুকে নিয়ে।
বজ্রকণ্ঠে মুক্তির গান গেয়ে যায়,
রাজপথে পথে অমিত সাহসী সুর দিয়ে।


ছেলেটির কথা জনমনে তোলে আলোড়ন,
সে যেন সবার হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা।
দল বেঁধে ছোটে পশ্চাতে লাখো জনগণ-
শ্লোগানমূখর মধ্যদুপুরে দৃঢ় চলা।


অমিত সাহসী সেই ছেলেটিকে ভয় করে,
কারাগার-ঘরে বন্দী করেছে বারবার।
অকুতোভয় সে, সদা সর্বদা যেতো লড়ে,
তুচ্ছ করিয়া জীবন-যাপন, সংসার।


মহাপ্রেমিকের প্রেমধারা যার অন্তরে,
ঘরের ভেতরে একাকী রহিতে পারে না সে।
ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ উথাল সাগরে সন্তরে,
বাধাবিঘ্নের জঞ্জাল যতো যায় পিষে।


শত বছরের সাধনার ফলে সে-ই ছেলে,
বাংলার বুকে জন্মেছিলেন বিশ সনে।
অসুরের ছলে অন্যায়ভাবে মহীতলে
নিহত হলেও; আছে মানুষের মনে মনে।


চিরঞ্জীব সে, মরেও অমর পৃথিবীতে;
চিরকাল রবে বাংলাদেশের কাদা-জলে,
শষ্যের ক্ষেতে, সাধারণ মানুষের চিতে;
বিনম্র শ্রদ্ধায় ব্যথাতুর হিয়াতলে।


তোমরা জানো কি সেই ছিলেটির নামখানি?
পরিচিতজনে বলতো যে তাঁরে, 'খুব বোকা'!
বন্ধ করতে অত্যাচারীর রাহাজানি,
লড়ে গেছে সদা। সে-ই ছেলেটির নাম- খোকা।


যৌবনে খোকা সামনে দাঁড়ালো একাত্তরে,
অন্যায়-অনাচার করে দিতে অবসান।
সেই ছেলেটির নাম গাঁথা আছে অন্তরে-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


ওগো দয়াময়! মোনাজাত করি জোড় হাতে,
মাফ করে দাও, জান্নাত দাও ছেলেটিরে।
অসুর ছলনে নিহত হয়েছে কালরাতে,
শুয়ে আছে টুঙ্গীপাড়ার মধুমতি-তীরে।


২৬/০৮/২০২৩
ঢাকা।