লাস্যময়ী পৃথিবীকে ছেড়ে সবাই গিয়েছে চলে
ছোপ ছোপ অন্ধকার থেকে আলোর উদয়াচলে।
ভগ্নি-ভ্রাতা, পিতা-মাতা, পিতামহ-মাতামহী সব
চলে গেছে তাঁরা বহুদূরে; এ জীবনের উৎসব,
ভালোবাসা যতো, ভেঙেচুরে দিয়ে একে একে তাঁরা;
আমিও রবো না এইখানে, এইতো শাশ্বত ধারা।
আগামিতে যেজন আসিবে ছলনার পৃথিবীতে
প্রকৃতির স্বতঃসিদ্ধ অনন্তের স্বাভারিক রীতে।
জানি, তাকেও যে চলে যেতে হবে, সবকিছু ছেড়ে;
এই অন্ধকার থেকে অন্য এক আলোর গহ্বরে।
জগতের যতো জীব; আর, আমি-তুমি এবং সে,
সময়ের তুলাদণ্ডে মুহূর্তের আয়-ব্যয় কষে
প্রশ্নাতীতভাবে, সবকিছু ফেলে চলে যেতে হবে;
ইতিহাস সাক্ষী তার, কেউ থাকতে পারে না ভবে।
কতো যে বাঙময় ছিলো মানুষের কথার চাতুরী,
অথবা, তেজস্বী, কতো শক্তিশালী বুদ্ধির হাতুরী!
অসাড় দেহের কাছে সমুদয় হবে যে অসার।
যদিবা, মরুভূমিতে জল পড়ে, মূল্য নেই তার।
প্রেমের ধারার মমতায়, হাতের আঙুলে স্নেহ
যাদেরকে তুমি তুলে দিয়েছিলে; তারা কেহ
ঘুণাক্ষরে করবে না কভু এতোটুকু আবদার,
এই লাস্যময়ী আশ্চর্য সংসারে তোমাকে রাখার।


০১/০৭/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।