'' বলো, কি হবে তোমায় চিঠি দিয়ে?
চিঠির কতোটা শক্তি আছে?
অথবা, মূল্য তার?
এখন তোমার অনেক বন্ধু- তুমি যে বিখ্যাত!
কেউ কেউ তারা করে যে তোমায় ফোন,
হয়তোবা কেউ হেসে হেসে কথা কয়,
ভালোবেসে তারা চিঠি দেয়, করে অনুনয়।
আমার চিঠি পেলে কি না পেলে,
তাতে কি তোমার কিছু আসে যায়!


অসুস্থ শরীরে সেদিন,
বিছানায় শুয়ে শুয়ে দীর্ঘ চিঠিতে লিখেছিলাম-
আমার সমস্ত কথা, হৃদয়ের ব্যথা,
কুড়ানো ফুলের মালা গাঁথার পরম সরলতা;
সেই দীর্ঘ চিঠিতে ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছি কতো কথা,
কিন্তু, বলে দিলে তুমি, পাওনি যে তা'।
তবে, আর চিঠি দিয়ে কি লাভ হবে বলো?


আমার বন্ধু হওয়ার বহু অসুবিধে আছে,
কারন, আমার অনেক বন্ধুতো নেই।
অনেক বন্ধুর ভীড়ে হারাতে চাই না আমি,
অল্পতেই তুষ্ট থাকি,
তাই, দু'একজন বন্ধু থাকলেই আমি তৃপ্ত,
দু'একজনের বন্ধু হয়েই বেঁচে থাকতে যে চাই।
যে দিন তুমি আমারও মতোন একলা হবে,
সে দিন না হয় আমাকে ডেকো,
আজকের বন্ধুদের ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া এই আমি
তোমার পাশেতে এসে দাঁড়াবো ঠিকই।


আজও আমি অসুস্থ- অসুখ হয়েছে,
অ-সুখ হয়নি কখনো আমার।
সুখের ভেতরে তোমায় রচনা করে
রেখেছি গহন পরিচিতের বলয়ে,
হালকাভাবে সম্পর্ককে দেখতে চাই না বলে,
অনেক বন্ধুর ভীড়ে বন্ধু হতে পারিনি।
তাই, পরিচিত হয়েই তুমি থেকো।
তা না হলে ভেবে দেখো...


এ আমার শেষ চিঠি-
বেদনা মিশ্রিত ক্ষুব্ধ আবেগ মাখানো কথা। ''


০৩/০৩/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।