(মাঝে মাঝে আমি যেন হয়ে যাই নারী,
নারীদের সব কথা বুঝতে যে পারি।)


নদীর মতোন তুমি, কবিতার মতো তুমি,
মননে, ভুবনে তুমি যে প্রবাহমান।
মানুষের নিয়মের বাধা পেলে তুমি
উপছিয়ে যাও; দু'কুল ছাপিয়ে
ভাসিয়ে যে নাও জীবনের গ্লানী;
তপোভঙ্গ সাধকের মতো তেজদীপ্ত হয়ে উঠো
তছনছ করে যাও জীবনের অপমান।
নদীর মতোন তুমি, তুমি যে প্রবাহমান।


তোমার জলের বেগে জাগে সুনামীর ঢেউ,
জলের তোড়েই ভেসে যায় কতো জনপদ,
তোমার ঢেউয়ে ভেসে যাই আমি, ভেসে যায় দিনরাত,
ভেসে যায় আমার সকল বিপদ আপদ।
তোমার গহন জলের প্রবল তাড়নে তাড়নে
জোয়ারের মতো আমার কবিতা ফুলেফেঁপে ওঠে;
তুমি যে বিশাল নদী অথবা কবিতা তেজঃময়!
ধরে রাখি তাই সোহাগের করপুটে।


চাঁদের কৌতূক গোপনে গোপনে প্রতিরাত
ঢেলে দেই আমি; জোয়ারের ছলে
সম্মৃদ্ধ নগরী কলকলিয়ে ভাসিয়ে নাও
কতো অবহেলায়! কতোই কৌতূহলে!
নদীর মতোন তুমি, তুমিই কবিতা,
তোমার পরশে জেগে উঠে স্বতঃস্ফূর্ত প্রেম;
আজন্ম লালিত আমার প্রিয়তা!
তুমি যে আমার দোলানো বেনীর লালফিতা।


০২/০২/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।