ধূসর গগনে গ্রীষ্মপবনে দয়ামায়া আজ নাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
দরদর ঝরে ঘর্মের জল,
তৃষ্ণা মেটে না পায় নাকো তল ;
তাপদাহ বাড়ে প্রতি ক্ষণেক্ষণে পথিকেরা রয় চাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
আগুনের শিখা বড়ো অহমিকা দাউ দাউ করে জ্বলে রে।
শান্তিপরশ লভিবার তরে বলে রে-
'তুমুল বৃষ্টি ঝরাও অঝোর,
আল্লা-মাবুদ করি করজোড়;
সহিতে পারি না, দয়া করো প্রভু প্রশান্তময় জলে রে।'
শান্তিপরশ লভিবার তরে বলে রে।
ওগো, আজ তোরা যাসনে গো, তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
বিশাল আকাশে মেঘমালা কোন নাহি রে।
সূর্যের চোখ জ্বলজ্বল জ্বলে,
ধরণী এবার যাবে বুঝি গলে
ধু-ধু মাঠ-ঘাট কৃষাণীরা রয় বিরস নয়নে চাহি রে।
ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।
২৭ জ্যৈষ্ঠ,১৪২৪
১১/০৬/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ডুবিয়ে রাখলাম কবিতার ভাবের ভেতরে। আষাঢ়িয়া কাহিনী এলো গ্রীষ্মের রণরঙ্গিণী রূপে ।