পরিপূর্ণভাবে আমাকে এখনো চিনতে পারোনি
চেনাতে আমার কোন গরজ ছিলো না কখনোও
চুপচুপ দাঁড়িয়ে থাকি রঙময় সঙের ভান করে
একখানা কালো ঝাঁকালো গাছের পাতার আড়ালে।
ওরা কি জানে না? ওই সূর্য আমার হাতের তালু
চাঁদ নোখের জ্যোতি গ্রহ ও নক্ষত্র আমার হাসি
আমার চরণ বেয়ে জলবতী নদী ছুটে চলে যায়
জন্ম থেকে অনন্তকাল জীবনের শেষ অবধি।
সমস্ত সবুজ গ্রাম ফসলের ক্ষেত জলাশয়
বৃক্ষের চারা উর্বর জমি সবকিছু আমার।
পাহাড়ি বাতাস চন্দনের গন্ধ বন নীলাকাশ
শীতের শিশির রাতের কুয়াশা পাখিদের সুর
ধানী লঙ্কার ঝাল ফুলের গন্ধ সমস্ত আমার।
আমি কি চিৎকার করে আপনার পরিচয় দেবো?
নিজের হাতে পুষ্ট করেছি মাটি জগতসংসার
মানুষের মন চোখ কান বিস্ময়কর মস্তিষ্ক!
গাছের বুকে চোখে-মুখে আমার নাম লেখা আছে।
উপত্যকার মাটির অভ্যন্তরে জলের আয়নায়
বাতাসের প্রতি অনুতে অনুতে আলোর নয়নে
আমার নামটি খোদাই করা গভীর স্পষ্ট করে ।
প্রকৃতির রুমালের ভাঁজখানি খুলে দেখো তুমি
সেখানে লিখিত হীরের অক্ষরে - 'ভুলো না আমায়'!


০৭/০৬/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।