মগজের মাঝে কিছু আশা থাকে আর কিছু ভালোবাসা,
অধরামাধুরী স্বপনের মতো হালকা বাতাসে ওড়ে।
প্রেমিকের মতো ঘননিঃশ্বাসে সন্ধ্যার অন্ধকারে
বাঁশপাতা যেন, কাঁপাকাঁপা হাতে এলোমেলো করে চুল।
ঢাকা শহরের কোন কোন ফুটপাতে আবছাআলোর মাঝে  
জোড়ায় জোড়ায় যুবকযুবতীগণ;
যেন অলকানন্দার তীরে বিহ্বল আদমহাওয়া।
অতলান্তের দীর্ঘনিশাস বুকের ভেতরে ঝরে।
ক্লিন্নদেহের দীর্ণ আত্মা হারায় অজানার দেশে, হায়!
বিষন্নকাল দুলছে দোদুল আলোতে ছায়াতে।
ফেরারী সময়ে পালিয়ে বেড়ায় পুরুষজীবন অনন্তকাল ধরে;
সমুদ্র থেকে মরুভূমি; অতঃপর, মরুদ্যানের পথ ধরে
চলে যায় কোন এক জনমানবহীন দ্বীপের উদ্দেশ্যে।


আমাকে অবজ্ঞা করো না কখনও স্বর্গলোকের হে সুন্দরী!
নিপুণ হাতেই তুলে নিও তুমি বিস্ময়কর মানুষের প্রাণ!
জীবনের দাম, জীবনের ঋণ, বিদায়ের গীত একাকার হয়ে
নতুন প্র্রদীপ জ্বেলে দিও তুমি,
ওগো সুন্দরী, আজন্মলালিত প্রেয়সী আমার!
চিৎকার করে বলে যাবো- হে আমার মৃত্যুদূতী!
মৃত্তিকার পৃথিবীতে পুরুষের প্রাণ বড় যন্ত্রণাময়;
এইখানে মানবীর ভালোবাসা জীবনকে জড়িয়ে ধরে না,
জীবনের মতো করে, সোহাগে-আদরে-প্রেমে;
দু'চোখের আলোতে-ছায়াতে কষ্টের কুয়াশারা ঝরে।
মৃত্যুর মাঝে নূতন জীবন করে যেও দান, আমার মিনতি।
বিদায়সঙ্গীতে জানাই প্রণতি আমার।


২৭/০৬/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।