জ্যোৎস্নাময়ী! যাও না যতোই দূরে,
বাজবে তোমার শ্যাম-কিশোরের বাঁশি
নতুন শব্দের নতুন ভাবের সুরে;
তোমার নামে হই যে পরবাসী।


নীল পূর্ণিমার নিশুত কালের রাতে
যাক না চলে যে যার যেদিক খুশি;
কী প্রয়োজন জীবনের সংঘাতে?
থাকুক মনে চেতনা-প্রাণতোষী।


জলের রঙে আঁকি তোমার ছবি
করতে বরণ কলমী ফুলের মালায়;
সন্ধ্যাবেলায় ডুবে ত্রস্ত রবি,
বিভাবরীর ছোঁয়ায় দিবস পালায়।


বিলের ধারে বেঁধেছি যে ঘর,
রাখলে না খোঁজ নড়বড়ে তার রূপ;
আনন্দ সব লুটায় ধুলার 'পর,
তীব্র দহন পোড়ায় ব্যথার ধূপ।


সাক্ষী রইলো দূর আকাশের তারা,
মাটিগন্ধী ধূসর ব্যাঙের ছাতা;
বিলের জলে খেলতে আসে যারা,
সাক্ষী রইলো বনের সবুজ পাতা।


আমরা দু'জন জাতিস্মরের ছায়া,
লক্ষ যোনির ভ্রমণ শেষে আসি;
অন্তর-আবেগ, মূল্যহীন এ কায়া,
পরস্পরকে শুধুই ভালোবাসি।


আদম থেকে এই কবীরের প্রাণ,
হাওয়ার মাঝে সুখ খুঁজে সে যায়,
নিত্য সুখের চিত্ত গাহে গান,
অহর্নিশি প্রাণতোষী প্রাণ চায়।


১১/০৪/২০১৭
মিরপুর, ঢাকা।