.        কবিতা এখন দুরূহ এবং দুর্বোধ্য মনে হয়!
   নাকি কবিতার কথা পাঠকেরা বোঝতে চাহে না আর?
    আজিকার দিনে পাঠকের কাছে কবিতা কেমন হয়?
                কখন হয়েছে কবিতার জন্ম?
                কোন সে কালেতে কোথায়?
              কোন জনপদে? কোন জমানায়?
       কার হাত ধরে কবিতা হেঁটেছে দীর্ঘতর পথ?


         যেখানে দেখেছে কবিতারা সুন্দরের আলো-
                    ভালোবাসা আর প্রেমে,
     সেখানে জেগেছে অমর কবিতা শব্দের ঝংকারে।
    যেখানে দেখেছে অশোভন ঘন আঁধারের গিরিখাত,
         অয়োময় ঘেরা রুদ্ধ ঘরে শব্দের পদাবলী;
    সেখানে এসেছে প্রবল প্রতাপে কবিতার যাদুখেলা।
  কবিতারা জাগে ফুলেদের ভীড়ে প্রাণের সৌরভে মেখে,
   কবিতারা জাগে আলোতে আঁধারে জীবনের প্রয়োজনে,
           কবিতারা জাগে ভালোবাসা আর প্রেমে-
                       মানুষের বন্দনায়;
কবিতারা হাসে অন্ধকারে আলোকের কণায় কণায়।


    কবিতারা এখন প্রভাত আলোকের রৌশনীর মতো
             খল খল করে হেসে উঠে না আর,
         কবিতারা এখন দুধার ধারালো অসির মতো
  জীবন যুদ্ধের মাঠে প্রতিবাদী কণ্ঠে তোলছে না আর সুর।
                  কেমন ধূসর ম্রিয়মান তারা,
         আপোষকামীর জড়তা জড়িয়ে হেসে যায়,
               কেঁদে যায় অঝোর বৃষ্টির জলে
                     অশ্রুহীন বিষন্নতা!


এসো, কবিতার শরীরে মননে হৃদয়ে আগুন জ্বালি,
             তীব্রদহনের দাবানল দাহ!
           পুড়ে যাক তার সকল জড়তা,
         পুড়ে যাক তার নবনী লজ্জার ভয়;
সেখান থেকেই জেগে উঠুক বারবার জেগে উঠা
             অপরাজয়ী বাণীর কবিতা-
    ভষ্ম থেকে জন্ম নেয়া ফিনিক্স পাখির মতো।


১৬/০৪/২০১৮
মিরপুর, ঢাকা।