দেখেছি তোমারে সাগরে পাহাড়ে দেখেছি চন্দ্রে ফুলে,
দেখেছি তোমায় লতা ও পাতায় দেখেছি বৃক্ষ-মূলে।
        শতরূপে তুমি করিছো প্রকাশ
        কখনো ধরণী, কখনো আকাশ
দেখেছি মেঘের রঙের মেলায় দেখেছি আকাশ নীলে,
দেখেছি পদ্মপাতার মিছিলে দেখেছি খালে ও বিলে।


তোমার কন্ঠ শুনেছি কর্ণে বজ্রবাণীর স্বরে,
বাতাসের গানে ঝড়ের স্বননে বিশ্বের চরাচরে।
        যতো শুনি সেই সুমধুর সুর
        বিমোহিত হয় অন্তরপুর
সেই থেকে আমি তোমাকে বাঁধি আমার এই অন্তরে,
এতো জানাজানি এতো পরিচয় যেও না দূরেতে সরে।


নীরব চরণে নিশিথে গোপনে এসো, প্রিয়তম প্রিয়ে!
ঘুমহারা আমি কাটাই রজনী তোমার ভাবনা নিয়ে।
        বাহিরে জাগিছে শেফালিকা ফুল
        ফুটেছে বকুল গন্ধ অতুল
রাতের কামিনী সাজায় যামিনী শুভ্র পাপড়ি  মেলে,
নিদ্রাবিহীন চেতনে আমার তোমার মূরতি খেলে।


সুদূরে কোথাও বাউলের গান উদাস মনের কথা,
বাতাসে বাতাসে ভেসে আসে কানে বেড়ে যায় ব্যাকুলতা।
        মরমে পশিয়া সে বাণীর সুর
        করিছে আমারে বেদনা-বিধুর
আমার সঙ্গে জেগে রয় যেন বনের বৃক্ষলতা,
বিরহবেদনা প্রশমিতে বুঝি চামর দোলায় পাতা।


ওগো, মোর শত জনমের প্রিয়া, অনিন্দ্য মহারানী!
আমার চেতনা বিশ্বজগতে হয়ে যাক কোরবানি।
        করুণার জলে ভেজাও আমায়
        ব্যথিত হৃদয় এতোটুকু চায়!
কতো ছলনায় কতো কাজে আমি করেছি নাফরমানী,
সে সকল সব ক্ষমা করে দিয়ে বুকে নাও মহারানী।


১৮/০৭/২০২২
মিরপুর, ঢাকা।