অন্ধকার রাত্রি নেমে আসে ধীরে ধীরে,
পড়ন্ত বিকেল বেলা হিসাব মেলাতে পারে না জীবন;
অসহায়ভাবে ভাবে অপরাহ্নের সূর্যের প্রতি চেয়ে।
নতমস্তকে করুণ আত্মসমর্পণ করে যায়
সজল শৈশব- নির্ভাবনার দেউল-ঘরে
ইচ্ছের স্ফুরণ মমতার কোমল পরশে।
পরোয়াহীন হৃদয়ে রণাঙ্গন ছিলো একদিন
সবুজের বুক চিরে শিরায় শিরায় প্রবাহিত দাবানল দাহ
প্রতিপক্ষ কম্পমান ভয়ে দুরন্তকৈশোরে।
বিদ্রোহের তুমুল দুপুর- যৌবনের কাল,
বাউণ্ডেলে জীবনের প্রাণোচ্ছ্বল অন্তরদহন
দেহের অলিন্দে এনেছিলো প্রচণ্ড বিদ্যুৎঝড়।
সবকিছু দুলেদুলে উঠে সেলুলয়েড ফিতায়,
রাজপথে একা একা দাঁড়িয়েছি আজ;
অস্তমিত সূর্যের আশঙ্কা প্রাণের গভীরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।
অবদমিত বীর্যের অঘোষিত পরাজয়,
ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসে, ক্রমশ নেমে আসে অন্ধকার।
মহাকালের বিদ্রোহী প্রাণ,
ভীত কম্পমান!