শেষ বিকেলে সূরুজ এসে থমকে দাঁড়ায় মেঘের পাশে,
ছল-চাতুরীর খেলা চলে; চলছে যেমন চিরটাকাল।
আকাশ পাড়ের কালো কেশের মেঘের মেয়ে
শরম পেয়ে হচ্ছে আড়াল;
ধনুক বাঁকা দেহখানি হঠাৎ করে পাহাড় বানায়;
তার পিছনে নদীর জলে পা ডুবিয়ে নিজের রূপের বিমুগ্ধতায়
রয় ঘুমিয়ে সহস্রকাল।
আবার কখন  ‌নৌকা চড়ে পাল তুলে দেয় গহীন জলে কৌতূহলে,
খিলখিলিয়ে হাস্য রসে ভেঙ্গে পড়ে আহ্লাদীর রূপটি ধরে।
চুপটি করে ঘুমের দেশে যায় হারিয়ে
শুভ্র সফেদ আঁচলখানি বুকের মাঝে টেনে নিয়ে
ক্লান্ত দেহে অবশেষে।
সূর্যালোকের ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় মেঘের মেয়ে পাল্টিয়ে যায়,
হাজার রূপের ঝর্ণাধারায় রামধনুরে নিত্য সাজায়
সপ্ত রঙের বর্ণীলতায়।

২৮/০৭/২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।