সেদিন সন্ধ্যাবেলা,
বিজন ঘাটে তৃষ্ণা নিয়ে আমি যে একেলা।
কলসী কাঁখে ঘুঙুর পায়ে এলে ধীরে ধীরে,
কটিদেশে বিছা শিকল নামলে তুমি নীরে।
সন্ধ্যা আকাশ অলক্ত রাগ পশ্চিমাকাশ জুড়ে,
তোমার রূপের জ্যোতি পড়ে অন্তরের অন্তরে।
জলে ভরা কলসিখানি তুলে তাড়াতাড়ি,
ঝুম ঝুমা ঝুম শব্দ তুলে যাচ্ছিলে গো বাড়ি।
দূর পথে ঐ ধুলা উড়ে গরুর খুরে খুরে,
যাচ্ছে হেঁটে রাখাল ছেলে গানের সুরে সুরে।


ডাক দিয়ে কই তোমায়,
তৃষ্ণা বড়ো বুকের ভেতর জল দেবে কি আমায়?
ঘোমটা তুলে তাকাইলে আমার মুখ পানে,
জলের কলস ঢেলে দিলে কী ছিলো গো মনে?
আঁজলা ভরে জল তুলে নেই তৃষ্ণা ভরা বুকে,
অরূপ রূপের বিমলতা জাগে তোমার চোখে।
তৃষ্ণা আমার যায় যে মিটে দেখে তোমার রূপ,
রূপের নদী চুঁইয়ে পড়ে এমন অপরূপ।
কলসি কাঁখে গেলে চলে আর এলেনা ফিরে,
এখনো যে ঘুরছি আমি নদীর তীরে তীরে।


৩০/০৮/২০১৪।
মিরপুর, ঢাকা।